মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও মৃত্যুর মামলার তদন্ত পুলিশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি
Published: 13th, March 2025 GMT
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও পরে মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক) মো. রেজাউল হক। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শ্রীপুর উপজেলায় শিশুটির দাফন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মো. রেজাউল হক বলেন, ‘আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের ওপর আস্থা রাখবেন। ঘটনা জানার পরপরই মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের যে কাজ তদন্ত করা, সেই তদন্তের কাজটি খুব দ্রততার সঙ্গে শেষ করব।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি সব সময় এ ঘটনার খোঁজখবর নিচ্ছেন উল্লেখ করে মো.
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা জেনেছেন সিআইডিতে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডিএনএ নমুনা দেওয়া হয়েছে। আমি আজকেও সেখানে কথা বলেছি। সবাই গুরুত্ব দিয়ে এটা নিয়ে কাজ করছে। এই রিপোর্ট (প্রতিবেদন) প্রাপ্তির পরপরই আমরা মামলার অভিযোগপত্র দিয়ে দিতে পারব ইনশা আল্লাহ।’
এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম, মাগুরা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাফিন আল সাইফ, পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে শ্রীপুর উপজেলায় শিশুটির গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাত ৯টার দিকে সমাহিত করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শিশুটির মাগুরায় আনা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন শিশুটির মা এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। প্রায় একই সময়ে আলাদা আরেকটি হেলিকপ্টারে মাগুরায় আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। তাঁরা সবাই নোমানী ময়দানে শিশুটির প্রথম জানাজায় অংশ নেন।
আরও পড়ুনমাগুরার শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার বিচার শুরু এক সপ্তাহের মধ্যে: আইন উপদেষ্টা৬ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হরমুজ প্রণালি বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা
তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হরমুজ প্রণালি দিয়ে কোনো জাহাজ চলতে পারবে না। এরই মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দামও বেড়ে গেছে।
এই ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে গেছে, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও জোরদার করবে এবং হরমুজ প্রণালিকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করবে, যা বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ জলপথ।
হরমুজ প্রণালি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল একটি সমুদ্রপথ। এটি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং ইরান ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত।
প্রণালিটির প্রস্থ খুব বেশি নয়, সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গায় মাত্র ৩৯ কিলোমিটার, যার মধ্যে কেবল দুটি সংকীর্ণ চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল করতে পারে। তবে ছোট এই পানিপথ দিয়েই প্রতিদিন বিশ্বের মোট সমুদ্রপথে পরিবাহিত তেলের প্রায় ২০ শতাংশ যাতায়াত করে, যা একে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
হরমুজ প্রণালি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইরান প্রায়ই এই প্রণালিকে একটি কৌশলগত চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা বা সামরিক হুমকির জবাবে ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে, তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে, যা গোটা বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বারবার এই প্রণালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে।
ইরানে হামলার পরপরই হরমুজ প্রণালি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। খবর আলজাজিরার।