Samakal:
2025-09-18@02:34:01 GMT

বহুমুখী প্রতিভার অলিভিয়ার টড

Published: 13th, March 2025 GMT

বহুমুখী প্রতিভার অলিভিয়ার টড

ফ্রান্সের বিখ্যাত সাহিত্যিক, লেখক ও সাংবাদিক অলিভিয়ার টড ১৯২৯ সালের ১৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ফ্রান্সে যুদ্ধকালীন সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। ফরাসি দার্শনিক জ্য পল সার্ত্রের ঘনিষ্ঠজন এবং নোবেলজয়ী আলবার্ট কামুর জীবনীকার হিসেবে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি ষাটের দশকে বিবিসিতে পরিচিত মুখ ছিলেন। ঘটনা বিশ্লেষণ, প্রতিবেদন উপস্থাপন, ভাষাশৈলী এবং সুন্দর চেহারা দিয়ে ব্রিটিশ দর্শকদের মন জয় করেন।
তিনি ছিলেন ফ্রান্সে ইংরেজ প্রবাসী হেলেন টডের অবৈধ পুত্র; যিনি নিজেও ছিলেন ডরোথি টডের অবৈধ কন্যা। ১৯২৬ সালে ডরোথি টড সমকামিতার জন্য ব্রিটিশ ভোগের সম্পাদকের কাজ থেকে অব্যাহতি পান। টডের বাবা জুলিয়াস ওব্লাট একজন অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান স্থপতি ছিলেন। অলিভারের জন্মের সময় পর্যন্ত লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। তাঁর মা দীর্ঘদিন গৃহশিক্ষক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেছেন এবং একসময় শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। ১৯৪৭ সালে টড সোরবোনে অধ্যয়ন করার পর কেমব্রিজের কর্পাস ক্রিস্টিতে নৈতিক বিজ্ঞান পড়ার জন্য বৃত্তি লাভ করেন। এর পরের বছর ১৯ বছর বয়সে তিনি দার্শনিক পল নিজানের কন্যা অ্যান-মারি নিজানকে বিয়ে করেন। তৎকালীন ডানকার্কে যুদ্ধে নিজান নিহত হন। এরপর জ্য পল সার্ত্র ছিলেন মারির অভিভাবক।
সার্ত্রকে টড বাবা হিসেবে বিবেচনা করতেন। তিনিই তাঁকে তাঁর প্রথম বইয়ের জন্য একজন প্রকাশক খুঁজে পেতে সাহায্য করেছিলেন এবং বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন। মরক্কোতে থাকাকালীন বিবিসিতে কিছু ভাষ্য প্রদানের সুযোগ পান। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বিবিসি রেডিওতে নিয়মিত অবদানকারী ছিলেন। ইউরোপীয় যাবতীয় বিষয়ে তিনি কথা বলতেন। ১৯৬৪ সালে মধ্যপ্রাচ্য, ভিয়েতনাম থেকে রাজনৈতিক সাপ্তাহিক ‘লে নুভেল অবজারভেটর’-এ যোগ দেন। সার্ত্র তাঁকে উত্তর ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম ভান ডংয়ের সঙ্গে পরিচয় করান। 
এই সময়ের মধ্যে টড ইউরোপা, বিবিসি টু-এর জন্য লন্ডনে যান। ১৯৬৭ সালে তিনি রবার্ট হিউজ এবং লুইস এনকোসির সঙ্গে ‘থ্রি সুইংস অন আ পেন্ডুলাম’ নামে প্রামাণ্যচিত্রে ‘সুইনগিং লন্ডন’-এর বিদেশি দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। ফ্রান্সে দ্রুতই তিনি জনপ্রিয় সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী হিসেবে পরিচিতি পান। টড ভিয়েতনামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে একজন ফরাসি বামপন্থি বুদ্ধিজীবী হিসেবে তিনি কমিউনিজমের প্রতি উৎসাহী ছিলেন না। ১৯৭৭ সালে স্যার জেমস গোল্ডস্মিথের ম্যাগাজিন ‘এলএক্সপ্রেস’ ত্যাগ করেন। 
এরপর তিনি একজন পূর্ণকালীন লেখক হন। তিনি অ্যালবার্ট কামুর সরকারি জীবনীকার নিযুক্ত হন এবং অনেক পরিশ্রমের পর তাঁর অত্যন্ত প্রশংসিত জীবন, সংগীতশিল্পী জ্যাক ব্রেল এবং ঔপন্যাসিক আন্দ্রে মালরাক্সের জীবনীও লেখেন। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার