আইপিএলের ১৮তম আসর শুরু হতে আর এক সপ্তাহ বাকি। টুর্নামেন্টের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির ৯টিই আগেভাগে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে। বাদ ছিল শুধু দিল্লি ক্যাপিটালস। গতকাল দিল্লিও অধিনায়ক বেছে নেওয়ার কাজটা সেরে ফেলেছে।

এ মৌসুমে দিল্লিকে নেতৃত্ব দেবেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। লোকেশ রাহুল অনীহা দেখনোয় শেষ মুহূর্তে অক্ষরকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারতের রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক হিসেবে গত বছরই অভিষেক হয়েছে অক্ষরের। মন্থর ওভার রেটের কারণে ঋষভ পন্ত এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় থাকায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেন অক্ষর। ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এবার স্থায়ীভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন।

আইপিএলের যাত্রা শুরুর সময় থেকে খেলে আসছে, এমন দলগুলোর একটি দিল্লি ক্যাপিটালস। অক্ষরকে নিয়ে দলটি ১৮ বছরে ১৪ জনকে অধিনায়ক বানিয়েছে। কিন্তু সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে পারেননি কেউই। টুর্নামেন্টের সব আসরেই খেলা দলগুলোর মধ্যে পাঞ্জাব কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালসই এখন পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি।

২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরের আগে ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারে (বর্তমানে ১ হাজার ২০ কোটি ৩১ লাখ টাকার সমপরিমাণ) দিল্লি ক্যাপিটালস কিনে নেয় জিএমআর গ্রুপ। ২০১৮ সাল পর্যন্ত দলটির নাম ছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। সেই বছরের মার্চে জিএমআর গ্রুপ দলটি ৫০ শতাংশ মালিকানা ৬ কোটি ৩০ লাখ ডলারে (বর্তমানে ৭৬৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার সমপরিমাণ) জেএসডব্লু গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেয়।

দিল্লি ক্যাপিটালসের যত অধিনায়ক

পরে নামেও পরিবর্তন আনা হয়—দিল্লি ডেয়ারডেভিলস থেকে দিল্লি ক্যাপিটালস। ২০১৯ আসর থেকে এই নামে খেলে আসছে দলটি। কিন্তু নাম বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি, ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি এখনো।

আইপিএলের আগের ১৭ আসরের ১১টিতেই লিগ পর্ব (প্রথম পর্ব) থেকে বিদায় নিয়েছে দিল্লি। সেমিফাইনালে খেলেছে দুবার, প্লে-অফ পর্বে তিনবার, রানার্সআপ হয়েছে একবার।

দিল্লির প্রথম অধিনায়ক ছিলেন ভারতের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। তাঁর নেতৃত্বেই দলটি সর্বোচ্চ ৫২ ম্যাচ খেলেছে। ভারত জাতীয় দলের বর্তমান প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও দুই মেয়াদে দিল্লির নেতৃত্বে ছিলেন। মাহেলা জয়াবর্ধনে, কেভিন পিটারসেন, রস টেলরের মতো কিংবদন্তিরাও এই দলের অধিনায়কত্ব করেছেন, কিন্তু সাফল্যের চূড়ায় নিতে পারেননি।

দিল্লির সেরা সাফল্য ২০২০ সালে করোনাকালীন আসরের ফাইনালে খেলা। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার, যাঁর নেতৃত্বে গত বছর কলকাতা নাইট রাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারের মেগা নিলামে আইয়ারকে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কিনেছে পাঞ্জাব কিংস। তাঁকেই দলটির অধিনায়ক করা হয়েছে।

দিল্লির নতুন স্থায়ী অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল ২০১৩ আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের শিরোপাজয়ী দলের সদস্য। তবে ওই মৌসুমে কোনো ম্যাচে খেলা হয়নি। আইপিএলে তাঁর অভিষেক পরের বছর। ২০১৪ মৌসুমে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ফাইনালে খেলেছেন। ২০১৮ পর্যন্ত পাঞ্জাবেই ছিলেন।

২০১৯ মৌসুমে নাম লেখান দিল্লিতে। তখন থেকে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই আছেন। ছয় বছরে তাঁর দাম বেড়েছে তিন গুণের বেশি। মেগা নিলামের আগে তাঁকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে ধরে রেখেছে দিল্লি। অক্ষরের হাত ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি অধরা ট্রফির দেখা পায় কি না, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আইপিএলে দিল্লির প্রথম ম্যাচ ২৪ মার্চ বিশাখাপত্তনমে, প্রতিপক্ষ লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র য ঞ চ ইজ ক য প ট লস প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা দিবসে শাকিব খানের দুই রাজপুত্র ভাইরাল!

একদিকে হারমোনিয়ামে সুরের ঝরনা, অন্যদিকে কৌতুক ছড়ানো করপোরেট জবাব—এই দুয়ে মিলে রীতিমতো ভাইরাল ‘বাবা দিবস স্পেশাল’ হয়ে উঠলেন ঢালিউডের কিং শাকিব খান ও তার দুই ছেলে, জয় ও বীর।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে বাবা দিবস উপলক্ষে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে দুটি আলাদা ভিডিও। একটির নায়ক বড় ছেলে আব্রাম খান জয়, অন্যটি তার ছোট ভাই শেহজাদ খান বীর। 

জয়ের ভিডিওটি এসেছে মায়ের (অপু বিশ্বাস) ব্যবস্থাপনায় চালিত ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে দেখা যায়, ছোট্ট জয় বাবার পাশে বসে হারমোনিয়ামে গান করছে। ক্যাপশনে লেখা, “আমার অসাধারণ বাবাকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা। পৃথিবীর সেরা বাবাকে নিয়ে উদযাপন করছি।”

ভিডিওতে স্পষ্ট—শাকিব শুধু বড় পর্দার তারকা নন, জয়ের কাছে তিনিই তার জীবনের সুর।

আরো পড়ুন:

পাইরেসির কবলে শাকিবের ‘তাণ্ডব’!

সিরাজগঞ্জে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ নেই আশানুরূপ দর্শক

অন্যদিকে বীরের মজার ভিডিওটি এসেছে তার মা বুবলীর পেজ থেকে। ক্যামেরার সামনে বাবা শাকিব জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার বাবা কে?’ বীর বলে, ‘থালাইবা...’ শাকিব আবার জানতে চান, ‘আমরা কোন গ্রুপের মালিক?’ উত্তরে বীর বলে, ‘এসকে গ্রুপ।’ এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, “যেমন বাবা তেমন ছেলে। বাবার ভালোবাসা সবসময় ছেলের হৃদয়ে অঙ্কিত থাকবে।” 

এই দুটি ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন এবং মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসা ও প্রশংসায়। অনেকেই বলছেন— “শাকিব যেমন সুপারস্টার, তেমনই সুপারড্যাড। ব্যস্ততার মাঝেও ছেলেদের সময় দেওয়া যে কারো পক্ষে সম্ভব, শাকিব সেটার সুন্দর উদাহরণ।” 

এদিকে, ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’ সিনেমা এখনো প্রেক্ষাগৃহে সগৌরবে প্রদর্শিত হচ্ছে। শাকিব খান এখন যেন দুই ফ্রন্টেই রাজত্ব করছেন—একদিকে সিনেমা হলে, আরেকদিকে দুই ছেলের হৃদয়ে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ