প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা হচ্ছে: এম আব্দুল্লাহ
Published: 14th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেছেন, “প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় নেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।চলতি অথবা আগামী অর্থবছরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।”
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের চিকিৎসা সহায়তা ও সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেন, “একজন পেশাদার সাংবাদিক তার জীবনের সবকিছু ঢেলে দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। যখন সাংবাদিকতার শেষ প্রান্তে এসে যখন হাউজে তার আর জায়গা হচ্ছে না, কর্মক্ষম সাংবাদিক হিসেবে তাকে আর প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে না তখন কিন্তু এক ধরনের অসহায়ত্বের মধ্যে পড়ে যান। সন্তানদের ওপর কেউ নির্ভরশীল হন। কেউ কেউ এতটাই অসহায় হয়ে পড়েন যে সামান্য ওষুধ কেনার মতো তাদের অবস্থা থাকে না। এর প্রেক্ষিতে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম যখন ছিলেন তখন আমি একটা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলাম। প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনা যায় কিনা। প্রতি মাসে যদি তাদের ১০ হাজার টাকা করেও দিতে পারি আমরা এতে তার জরুরি ওষুধ, হাত খরচের টাকা চললে অন্ততপক্ষে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা তাদের কমে যাবে। তিনি তখন সেটাতে এগ্রি করেছিলেন।”
আরো পড়ুন:
রাজবাড়ীর প্রবীণ সাংবাদিক সানাউল্লাহ’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
‘যত বেশি সংবাদ প্রকাশিত হবে, গণতন্ত্র তত উন্নত হবে’
তিনি বলেন, “আমরা সেই নীতিমালা নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে নীতিমালা নিয়ে একটি সভাও হয়ে গেছে। নীতিমালাটা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে যদি সহযোগিতা করে তবে এই অর্থ বছরে না হলেও আগামী অর্থ বছরে প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে।”
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদান কারা পাবেন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এম আব্দুল্লাহ আরো বলেন, “বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট একটি সাংবাদিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে এই প্রতিষ্ঠানটিকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে অসংখ্য ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে। এই বৈষম্যহীন সমাজের জন্য যে পরিবর্তনটি আনা হয়েছে, এটা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমি এখানে কোন রকম দল, মত, পথ ব্যক্তিগত রেষারেষি আক্রোশ এগুলোর কোন কিছুর প্রশ্রয় দেব না। শুধুমাত্র দেখা হবে তার পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা। আবেদনের মেরিট আছে কিনা। যদি আবেদনের মেরিট থাকে, আবেদন যদি সঠিক থাকে যেটার ১ লাখ টাকা পাওয়ার ছিল সেখানে ৫০ হাজার টাকা হলেও পাবেন।”
তিনি বলেন, “এর আগে আমরা দেখেছি, আমাদের অনেক সাংবাদিকের অনিয়মিত বেতনের কারণে রমজানে খুব কষ্ট পান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করে করে এবারই প্রথম রমজানে ইফতার এবং ঈদ উপলক্ষে খাবারের উপহার প্যাকেজ বিতরণ করেছি। সারা দেশের ১৫০০ সাংবাদিকের হাতে আমরা ইতোমধ্যে এই উপহার পৌঁছে দিয়েছি। এটাও আমরা প্রথমবারের মতো কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে করেছি।”
বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জেলা সভাপতি হোসনা আফরোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব ডা.
অনুষ্ঠানে ২১ জন সাংবাদিককে চিকিৎসা অনুদান এবং ১৯ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তির চেক দেওয়া হয়।
বগুড়া/এনাম/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ ক কল য ণ ট র স ট র প রব ণ স র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।