কোহলির চুলে নতুন ছাঁট, ভক্তরা বলছেন ‘বলিউড, হলিউড, কোহলিউড’
Published: 14th, March 2025 GMT
বিরাট কোহলি বেশ ফ্যাশন সচেতন। তাঁর পোশাক–আশাক থেকে চুলের ছাঁট অনুকরণ করেন অনেকেই। ছোট–বড় সেলুনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাশাপাশি কোহলির চুলের ছাঁটের পোস্টারও শোভা পায়। এবার বোধ হয় কোহলির চুলের ছাঁটের নতুন পোস্টার লাগাতে হবে সেলুনগুলোতে। আইপিএল সামনে রেখে নতুন চুলের ছাঁট দিয়েছেন কোহলি।
আরও পড়ুন১৮ বছরে ১৪ অধিনায়ক, এবার কি প্রথম ট্রফির দেখা মিলবে৭ ঘণ্টা আগেমাথার দুই পাশ থেকে চুল ছেঁটে ফেলেছেন কোহলি। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাড়িও রেখেছেন, যেটাকে বলা হচ্ছে ‘সাইড ফেড হেয়ারস্টাইল।’ তাঁর দীর্ঘদিনের চুলসজ্জাকারী (হেয়ারস্টাইলিস্ট) আলিম হাকিম নতুন এই ছাঁটের ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে শেয়ার দেওয়ার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভারত ও ভারতের বাইরে কোহলির বিশাল ভক্তকুল নতুন এই চুলের ছাঁট লুফে নিয়েছেন। আলিম হাকিমের এই পোস্টে কোহলির এক ভক্ত লিখেছেন, ‘রিয়েল কিং।’ আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘বলিউড, হলিউড, কোহলিউড।’
মাঠের বাইরে ট্রেন্ড তৈরিতেও জনপ্রিয় কোহলি। বড় টুর্নামেন্টের আগে তাঁর নতুন চুলের ছাঁট বরাবরই নজর কেড়েছে সমর্থকদের। এবার আইপিএল শুরুর কয়েক দিন আগে চুলে নতুন ছাঁট দিয়েও সে ধারাটা বজায় রাখলেন। ২২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এবারের আইপিএলের যেমন ১৮তম মৌসুম, তেমনি কোহলির জার্সি নম্বরও ১৮। অনেক সমর্থকেরই বিশ্বাস, প্রতীকী সংযোগ থাকায় কোহলি এবার তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে আরাধ্য আইপিএল শিরোপা জেতাতে পারেন।
আরও পড়ুনআইপিএলে কয়টি ম্যাচ খেলতে পারবেন না বুমরা৩ ঘণ্টা আগেগত বছর নভেম্বরেও নতুন চুলের ছাঁট দিয়েছিলেন কোহলি। সেটা ছিল ‘উবার–কুল হেয়ার মেকওভার’। ভারতের অনূর্ধ্ব–১৯ দলে খেলার সময় থেকেই নতুন নতুন হেয়ারস্টাইল দিয়ে নজর কেড়েছেন কোহলি। ২০০৮ সালের সেই হেয়ারস্টাইলে বয়সের কারণে তাঁকে অন্য রকম লেগেছে।
পরে রেজর শার্প ছাঁট দেওয়ার পাশাপাশি পম্পাদিউর ছাঁটও দিয়েছেন। তাঁর দীর্ঘদিনের চুলসজ্জাকারী আলিম হাকিম বলিউডের অনেক তারকারও চুলের ছাঁট দেন। এবার আইপিএলে ২২ মার্চ নিজেদের প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব