বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া খাল বালু দিয়ে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ খাল অবমুক্ত করার দাবিতে শুক্রবার মানববন্ধন করেছেন কৃষক ও এলাকাবাসী।
কৃষক নেতা আলমগীর হোসেন ও তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে খালের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম, নাসির খান, জসিম উদ্দিন খানসহ সহস্রাধিক মানুষ।
বক্তারা বলেন, নদীতীর সংরক্ষণে সিসি ব্লক বসানোর নামে মৃতপ্রায় এ খালে বাঁধ দিয়ে ভরাট করছে এসএস ন্যাশনাল টেক অ্যান্ড জেবি জনতা হাউজিং। এতে খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
ধুলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জানান, খালটি এক সময় এলাকার কৃষি মৎস্য ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু দখল ও দূষণের কারণে এটি মৃতপ্রায়।
এ বিষয়ে এসএস ন্যাশনাল টেকের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, কৃষক বা ফসলি জমির ক্ষতি হলে স্থানীয়ভাবে বসে সমাধান করা হবে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রবহমান খালে বাঁধ দেওয়া হয়ে থাকলে বাঁধ কেটে দেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।