গত বছর সাদা বলের ক্রিকেটে খুব একটা ভালো খেলা হয়নি লিটন কুমার দাসের। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের দলে জায়গা হয়নি তাঁর। বিপিএলে ভালো করেও নির্বাচকদের মন গলাতে পারেননি। এখানেই শেষ না, ঘরোয়া ক্রিকেট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ভালো দল থেকে ডাক পাননি। এই হতাশার দিন পেছনে ফেলে এ বছর জাতীয় দলে ভালো খেলতে চান উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার। পঞ্চপাণ্ডবের উত্তরসূরি হিসেবে দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে চান। ঘরোয়া ক্রিকেট, জাতীয় দল ও সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে লিটন কুমার দাসের মনখুলে বলা কথা শুনেছেন সেকান্দার আলী
সমকাল: ঢাকা লিগে নতুন একটি দলে খেলতে কেমন লাগছে?
লিটন: প্রিমিয়ার লিগে খেলতে ভালোই লাগছে। নতুন দলে খেলছি। অধিকাংশ জুনিয়র খেলোয়াড়। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন। মিলেমিশে খেলতে ভালোই লাগছে। এটাও সত্য, খুবই হতাশ বাংলাদেশের ক্রিকেট ক্লাবগুলো নিয়ে। কারণ, দিন দিন নিচের দিকে যাচ্ছে।
সমকাল: আপনি বড় দলে খেলে অভ্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ নবাগত দলে খেলতে হওয়ায় মনে কি খুব কষ্ট?
লিটন: বলব না কষ্ট লাগছে; যেটা বললাম, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি হচ্ছে না। ভালো খেলায়াড়রা ভালো দল পাচ্ছে না। অনেক খেলোয়াড় প্রথম দিকে দল পায়নি। শুনতে খারাপ লাগবে, কিন্তু বাস্তবতা হলো ক্লাবগুলো নিচের দিকে যাচ্ছে। এটা শুধু ক্লাব ক্রিকেট না, বিপিএলেও একই ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্রিকেটার আছে, যারা আইকন হিসেবে দলভুক্ত হওয়ার যোগ্য অথচ তারা দল পেয়েছে অনেক পরে। যারা একদম নতুন, তারা ‘রিটেইন’ প্লেয়ার হয়ে গেছে। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের ক্রিকেটের মান কোন দিকে যাচ্ছে। যারা ক্লাব বা দল চালায়, তারা কীভাবে চিন্তা করছে।
সমকাল: এটা কি ‘সিস্টেমের’ দোষ?
লিটন: আমি আসলে কাউকে দোষ দেব না। তবে এটা হওয়া উচিত না। খেলোয়াড় হিসেবে আমার কাজ ভালো খেলে ভালো জায়গায় যাওয়া। আমি যদি ভালো পারফরম্যান্স করি আর ভালো জায়গায় না যেতে পারি, তাহলে বুঝব কোথাও ঘাটতি আছে।
সমকাল: এই লিগে ৫০ হাজার টাকায় খেলতে হচ্ছে অনেককে। কতটা কষ্টের?
লিটন: এটা খুবই হতাশাজনক। বাংলাদেশে জাতীয় দলের পর সবচেয়ে বড় দুটি ইভেন্ট হলো বিপিএল ও ডিপিএল। বিপিএল সবাই খেলে না। বেশি খেলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। এখান থেকে আমাদের ওয়ানডে দলের ক্রিকেটার বাছাই করা হয়। ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। এত বড় একটি মঞ্চে ৫০ হাজার টাকায় একজন খেলোয়াড় খেলছে, খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা। এই বাজারে ৫০ হাজার টাকা কিছুই না। এক মাসের বাজারও হয় না। কেন একজন খেলোয়াড় ৫০ হাজার টাকার জন্য এত অ্যাফোর্ট দেবে? ১১টি ম্যাচ খেলবে? আমরা সবাই বলি, ক্রিকেট ভালোবেসে খেলি; কিন্তু পেশার জায়গা তো বাদ দিতে পারবে না। আপনি সচ্ছল না থাকলে ক্রিকেট খেলবেন কেন? একটি ছেলেকে ক্রিকেট খেলতে গেলে তাকে ফিটনেস করতে হয়, জিম করতে হয়, যাতায়াত আছে। এসবের জন্য তাকে খরচ করতে হয়। এত কিছু করার পর কেন সে ৫০ হাজার টাকায় খেলবে। আমার মনে হয়, এটা আপগ্রেড হওয়া উচিত।
সমকাল: বিপিএলে উইকেট ভালো ছিল, রান হয়েছে। কিন্তু ব্যাটাররা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গিয়ে ভালো করতে পারল না কেন?
লিটন: খেলোয়াড় হিসেবে বলছি, আমাদের গ্রুপটা কী ছিল? ডেথ গ্রুপ। আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি– বাংলাদেশ দল জিতবে, সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলবে। প্রত্যাশা একরকম, বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশ যে গ্রুপে দুটি ম্যাচ খেলে হেরেছে, সেই দুটি দলই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ। কাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছেন এই জিনিসটি মাথায় নিতে হবে। বিশ্ব ক্রিকেটে গত পাঁচ বছর ধরে ভারত ডমিনেন্ট করছে। এই সময়ে রেকর্ড দেখা হলে উপমহাদেশে নিউজিল্যান্ড খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে এশিয়ার বাইরের দলগুলোর মধ্যে। আপনি তাদের বিপক্ষে খেলে হেরেছেন। তারা খুবই পরিকল্পিত একটি দল। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক খেলে। তাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে হলে ১১ জন ক্রিকেটারকে শতভাগ দিয়ে খেলতে হবে। কারণ প্রতিপক্ষ দলের সবাই শতভাগ দিয়ে ম্যাচ খেলে। তারা নিয়মিত পারফরমার। এই জিনিসটি মানতে হবে, যে দুটি দলের সঙ্গে খেলেছে, তারা অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে ওই দিন যদি শতভাগ দিয়ে ক্রিকেট খেলতে না পারি, তাহলে হারব এবং সেটাই হয়েছে।
সমকাল: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে না পারা কতটা কষ্টের ছিল লিটনের জন্য?
লিটন: প্রত্যেক খেলোয়াড় চায় জাতীয় দলের হয়ে খেলবে। আইসিসির মতো বড় একটি টুর্নামেন্টে খেলার ইচ্ছা এবং লক্ষ্য আমারও ছিল। দুঃখজনক হলো তা হয়নি। এটা জীবনেরই অংশ। আপনি কোনো সময় ভালো করবেন, কোনো সময় ভালো করবেন না। এই না খেলতে পারা যতটা না কষ্টের, তার চেয়ে বেশি বুঝতে পেরেছি আমাকে কোথায় উন্নতি করতে হবে।
সমকাল: সাদা বলের ক্রিকেটে আপনার আউটের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্বাচকরা। আপনি কি সে জায়গায় উন্নতির জন্য কাজ করছেন?
লিটন: চেষ্টার কমতি কোনো দিনই ছিল না। কোনো দিন রান পেয়েছি, কোনো দিন পাইনি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই তো নিয়মিত রান করেনি। কিন্তু আমি রান না করলে জিনিসটা বেশি খারাপ হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করি, সবখানে রান করতে। হয়নি বলেই আমি দলের বাইরে। আবার চেষ্টা করব, পারফরম্যান্স করে দলে ঢুকতে।
সমকাল: লিটন যখন খেলে তাঁর ব্যাটিং ছবির মতো থাকে। বিপিএলে বেশ কয়েকটি ইনিংসে আপনাকে ছবির মতো ব্যাটিং করতে দেখা গেছে। সে জায়গা থেকে কতটা আত্মবিশ্বাস নিতে পেরেছেন?
লিটন: এই যে কথাটা বললেন, এটাই আমার জন্য নেতিবাচক। কারণ, সবাই ভাবে আমি মাঠে গেলেই রান করব। কেউ রান করুক বা নাই করুক, আমাকে রান করতে হবে। কিন্তু আমি তো মানুষ, ফেল হতেই পারি। আমার খেলা সুন্দর দেখে প্রতিদিন রান করব, তা না। একজন বোলারের একটি ভালো বলে আউট হতেই পারি। একটি ভালো ক্যাচ নিতে পারে বা আমি একটি বাজে শট খেলতে পারি; কারণ আমি মানুষ। আমার ব্যাটিং সুন্দর দেখে প্রতিদিন রান করতে হবে, এই জিনিসটি সবার ভেতরে গেঁথে গেছে। যারা নিউজ পোর্টাল চালায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস বানায়, তাদের উপস্থাপনায় থাকে আমি কেন রান করছি না। আমাকে নিয়ে দিনের পর দিন তারা কনটেন্ট বানিয়েই যাচ্ছে।
সমকাল: এই কনটেন্ট ক্রিয়েট ও ভিউ মিডিয়া কি চাপ তৈরি করছে?
লিটন: জিনিসটা চাপের না, খুবই ‘হ্যাম্পার’ করে। যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জিনিসগুলো যাচ্ছে, কনটেন্ট ক্রিকেটর বা ইউটিউবার যাদের কথাই বলেন না কেন, তাদের অধিকার আছে নিউজ বানানোর। কিন্তু সেগুলোর তো নৈতিক জায়গা থেকে হচ্ছে না। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুবই নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে কনটেন্টগুলো। আমাদের জন্যও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কারণ, তারা সেই জিনিসটা দেখাচ্ছে বাস্তবে যেটা গুরুত্বপূর্ণ না। আপনি সারাদিন প্র্যাকটিস করলে দু-তিনটা খারাপ হবেই। তিন ম্যাচ খেললে একটি খারাপ হতেই পারে। এখন সেই খারাপটাই যদি বারবার ফুটেজে দেখান, তাহলে কীভাবে হবে। কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য এটা প্লাস পয়েন্ট। কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য এটা হতাশাজনক।
সমকাল: কাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট?
লিটন: তাদের কাছে এগুলো ভালো নিউজ, বেশি ভিউ হয়। মানুষ এগুলোই খায়।
সমকাল: এ বছর জাতীয় দলের অনেক খেলা। নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান?
লিটন: আমার চেষ্টা সব সময় যে রকম থাকে, এ বছরও তাই থাকবে। আলাদা কিছু করার ইচ্ছা আমার নেই। যেভাবে ক্রিকেট খেলি, সেভাবে খেলব এবং চেষ্টা করব পারফরম্যান্স করার।
সমকাল: আপনাদের আগের জেনারেশন পঞ্চপাণ্ডবের বিদায় নিয়ে জানতে চাই। তাদের উত্তরসূরি হিসেবে কী নিতে পেরেছেন বা তারা কী দিয়ে যেতে পেরেছেন?
লিটন: আমি পাঁচজন সিনিয়র ক্রিকেটারের অধীনেই খেলেছি। সবচেয়ে বেশি মুশফিক ভাই খেলেছেন। তিনি টেস্টে ২০ বছর ধরে আছেন। আমার মনে হয়, তিনি আমাদের আদর্শ। অনেক ক্রিকেটারের মোটিভেটর। শুধু কথাবার্তায় না, ওয়ার্ক এথিকসের দিক থেকে। অনেক খেলোয়াড় তাঁকে দেখে প্র্যাকটিসে পরিশ্রম বাড়িয়েছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ভালো-খারাপ সময় যায়। এই জিনিসটি যত দ্রুত বুঝতে পারবে, তার জন্য ততই মঙ্গল। আমার মনে হয় মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মাশরাফি ভাই দেশের জন্য অনেক কিছুই দিয়েছেন। এখন আমাদের পালা আমরাও চেষ্টা করব দেওয়ার জন্য। মুশফিক ভাই যেহেতু এখনও আছেন, চেষ্টা করব কিছু ভালো ইনিংস রিপিট করতে।
সমকাল: টি২০ দলের নেতৃত্ব নিয়ে কথা হয়েছে?
লিটন: না, এখন পর্যন্ত কোনো কথা হয়নি। এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানি না।
সমকাল: নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য আপনি প্রস্তুত?
লিটন: হ্যাঁ, আমাকে দিলে অবশ্যই করব। না করার কিছু নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ সিরিজেও ক্যাপ্টেন্সি করেছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল টন দ স ল টন ক ম র দ স ৫০ হ জ র ট ক জ ত য় দল কনট ন ট প রফরম আম দ র র জন য অন ক ক র ন কর ন স কর ব প এল সমক ল
এছাড়াও পড়ুন:
অটোরিকশার ধাক্কায় ছিটকে বাসের নিচে, দুই বন্ধু নিহত
রাজধানীতে অটোরিকশার ধাক্কায় ছিটকে বাসের নিচে পড়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বনশ্রীর এফ ব্লক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন মতিঝিলের ফকিরাপুল মোড়ে প্রাইভেট কারের চাপায় আব্দুল মতিন (৩৬) নামে এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন।
বনশ্রীতে নিহত দু’জন হলেন– আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১) ও পাভেল মিয়া (২০)। নোমানের মামা আব্দুল হামিদ জানান, নিহতরা পরস্পর বন্ধু। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ঢাকায় ঘুরতে যাওয়ার সময় দু’জন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তারা রূপগঞ্জের নামারমুসুরি এলাকায় থাকতেন। নোমান মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাভেল তেমন কিছুই করতেন না। এ ঘটনায় নোমানের পরিবারের পক্ষ থেকে সড়ক নিরাপত্তা আইনে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোটরসাইকেল চালক টিপু সুলতান বলেন, সড়কটি যানবাহনে ঠাসা ছিল। এ কারণে গাড়ি চলছিল ধীরগতিতে। হঠাৎ একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পাশ থেকে এসে নোমানের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে দু’জন সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। পরে মিয়ামি পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। নোমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। মোটরসাইকেল আরোহী পাভেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খিলগাঁও থানার ওসি দাউদ হোসেন জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। অটোরিকশা চালককেও আটক করা যায়নি। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফকিরাপুল মোড়ে প্রাইভেটকারের চাপায় প্রাণ হারান রিকশাচালক আব্দুল মতিন। তাঁর বাড়ি রংপুরে। তিনি মুগদার মাণ্ডা এলাকায় একটি রিকশার গ্যারেজে থাকতেন। মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, প্রাইভেটকারের চালক আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতন্ত শেষে পরিবারের কাছে মতিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দর থানার সিভিল এভিয়েশন কোয়ার্টার গেটের (সি-টাইপ) সামনের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। বিমানবন্দর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই যুবকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
সড়কে ঝরল আরও ছয় প্রাণ
খুলনার ডুমুরিয়ায় তেলবাহী লরির চাপায় দুই নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকেলে উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের নরনিয়া মহিলা মাদ্রাসার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন– রোকেয়া বেগম (৫৫) ও রশিদা বেগম (৪৫)।
গতকাল সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে সেলফি পরিবহনের বাসের ধাক্কায় শামসুল হক নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরে গণস্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। সাভার থেকে অবসরের পাওনাদি নিয়ে ফেরার পথে তিনি প্রাণ হারান। শামসুলের বাড়ি চাঁদপুরে। ঘটনার পর গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মচারীরা সেলফি পরিবহনের পাঁচটি বাস আটক করেন।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নয়ন মিয়া (৩৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন। গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের রতনদী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শান্ত ইসলাম (১৮) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল উপজেলার কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শান্ত মথুরাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের রিপন মণ্ডলের ছেলে।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী বাজারে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে স্বপন শীল নামে এক স্যালুন ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্র বিলি করতে বেরিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।