ঈদ উপলক্ষে বাটায় আকর্ষণীয় ছাড় ও অফার
Published: 15th, March 2025 GMT
ঈদ মানেই নতুন জুতা—যুগ যুগ ধরে ঈদের শপিংয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টির প্রচলন। আর ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করতে প্রতি ঈদেই বাটায় থাকে নতুন চমক। ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছর ব্র্যান্ডটি ক্রেতাদের জন্য নিয়ে আসে নানা আকর্ষণীয় ছাড় ও অফার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছর বাটা নিয়ে এসেছে নতুন কালেকশন—স্টারলাইট। এই কালেকশনের প্রতিটি জুতা স্টাইল, আরাম ও ফ্যাশনের মিশেলে তৈরি, যা ঈদের আনন্দে যোগ করবে নতুন মাত্রা। এককথায় পায়ে ‘স্টারলাইট’ কালেকশনের জুতা আরামের পাশাপাশি আপনাকে করে তুলবে আরও ফ্যাশনেবল ও আত্মবিশ্বাসী।
বাটার স্টারলাইট কালেকশনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও নতুন সব ডিজাইন, যা আপনার সৌন্দর্য ও স্বাচ্ছন্দ্য দুটিই নিশ্চিত করবে। নারীদের জন্য ক্রিস্টাল ট্রেন্ডিং হিল থেকে শুরু করে রয়েছে আধুনিক আপারের আরামদায়ক স্যান্ডেল। পাশাপাশি পুরুষদের জন্যও থাকছে নানা রকমের ড্রেস শু, মোকাসিন, সামার স্যান্ডেল ও গরমের উপযোগী অন্যান্য ফ্যাশনেবল জুতা। ঈদ উদ্যাপনকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে পুরুষদের জন্য থাকছে বিশেষ এক্সক্লুসিভ লেদার রেঞ্জ। ঈদের স্টাইলকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে, এমন সব জুতা নিয়েই স্টারলাইট কালেকশন।
এই ফুটওয়্যার ব্র্যান্ডটির বিশেষত্ব হলো, বাটার সংগ্রহে সবার সাধ্যের মধ্যে কিছু না কিছু থাকে। যেমন স্টারলাইট কালেকশনে পুরুষদের জুতা ৪৯৯ থেকে ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা, নারীদের জুতা ৪৯৯ থেকে ৫ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং শিশুদের জুতার দাম থাকছে মাত্র ৪৯৯ থেকে ৩ হাজার ৯৯৯ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ও মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ক্যাশব্যাক ও কুপনের সুবিধাও দিচ্ছে বাটা।
স্টারলাইট কালেকশনের পাশাপাশি রয়েছে বাটা রেড লেবেল, বাটা কমফিট, পাওয়ার, নর্থ স্টার, ওয়েনব্রেইনার, বাবলগামারস, হাশ-পাপিস ও সোলের মতো আইকনিক সব কালেকশন। এই ঈদে বাটার সব কটি পণ্যে পাচ্ছেন সেরা মান ও স্টাইল। বাটার প্রতিটি জুতাই সেরা ডিজাইন, উন্নত উপকরণ ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়, যা সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। মেমোরি ফোম, অর্থোলাইট কুশনিং, লাইটওয়েট ফিচার, লাইফ অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসহ ট্রেন্ডি সব জুতা নিয়ে এসেছে বাটা। তাই ঈদের নামাজে যাওয়ার সময়, পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দের সন্ধ্যা উদ্যাপনে পায়ে বাটার স্টারলাইট কালেকশনের এই আরামদায়ক ও স্টাইলিশ জুতা নিঃসন্দেহে আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করবে। আর আপনার ব্যক্তিত্বে এনে দেবে অনন্য এক ছোঁয়া।
ঈদে বাটার বিশেষ ছাড় ও অফার
বাটা অনলাইন ও অফলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকছে নানা আকর্ষণীয় অফার
• Batabd.
• বিভিন্ন মূল্যের গিফট ভাউচারে পাবেন ফ্ল্যাট ২৫ শতাংশ ছাড়।
• বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে ও প্ল্যাটফর্মে পাবেন ক্যাশব্যাক ও কুপনের সুবিধা।
• এ ছাড়া বাটা ক্লাবের মেম্বার হলে পাচ্ছেন বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফার।
বাটার ঈদের শপিং এখন আরও সহজ। দেশজুড়ে বাটার আড়াই শর বেশি আউটলেটে থাকছে পছন্দের সব জুতা কেনার সুযোগ। এ ছাড়া অনলাইন ক্রেতাদের জন্য www.batabd.com–এ এক হাজারের বেশি নতুন ডিজাইনের জুতা সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে থাকছে সাপ্তাহিক ফ্ল্যাশ ডিল ও ফ্রি শিপিং অফার। তাই উৎসবকে আরও রঙিন ও স্মরণীয় করে তুলতে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন বাটার স্টাইলিশ ও আরামদায়ক সব ফুটওয়্যার।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।