ইজিবাইক সাইড দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, টেটাবিদ্ধ ৩
Published: 17th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জে ইজিবাইক সাইড দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে টেটাবিদ্ধ ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার টঙ্গিরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার টঙ্গিরঘাট গ্রামের আফজল আলীর সঙ্গে রামনগর গ্রামের আইয়ুব আলীর ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম) গাড়ির সাইড দেওয়া নিয়ে শনিবার ঝগড়া হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা সালিশে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
রবিবার রাতে সালিশের আগেই দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে টেটাবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত বাকিরা হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল