সামাজিক নিরাপত্তায় প্রয়োজন ‘তাকওয়া’
Published: 17th, March 2025 GMT
তাকওয়া অর্থ আল্লাহভীতি, আত্মসংযম ও সৎপথ অনুসরণ করা। ইসলামি পরিভাষায় তাকওয়া হলো আল্লাহকে ভয় করে তাঁর আদেশ মেনে চলা এবং তাঁর নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা। এটি একজন মানুষের অন্তরের একটি অবস্থা, যা তাকে ন্যায়পরায়ণতা, সংযম ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে।
‘তাকওয়া’ শব্দের মূল অর্থের মধ্যে সতর্কতা, সাবধানতা ও আত্মরক্ষাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি মূলত ‘ওয়াক্বা’ ধাতু থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘রক্ষা করা’ বা ‘বাঁচানো’। তাই তাকওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আল্লাহর শাস্তি থেকে আত্মরক্ষা করা এবং গুনাহ থেকে সাবধান থাকা।
কলব বা অন্তরের রোজা হলো তাকওয়া। পবিত্র রমজানে রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় রোজাদার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সব ধরনের বৈধ পানাহার ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত থাকেন। নির্জন নিরালায়, দরজা–জানালা বন্ধ ঘরে, গোপন স্থানে ও পানাহার তথা রোজার বিপরীত কোনো কাজ করেন না। এর মধ্য দিয়ে মুমিন জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করেন।
আর গুনাহ বর্জনের জন্য মানসিক দৃঢ়তা ও মনোবল অর্জনই রোজার বাস্তব শিক্ষা তথা তাকওয়ার প্রশিক্ষণ।
মুমিনের জীবনে তাকওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইখলাস ও তাকওয়া সফলতার অবলম্বন। তাকওয়া হলো আল্লাহর অসন্তোষের ভয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যারা ইমান এনেছ, তারা তাকওয়া অর্জন করো।’ (সুরা–৩৩ আহযাব, আয়াত: ৭০)। ‘যারা ইমান আনল এবং তাকওয়া অর্জন করল, তারা আল্লাহর বন্ধু; তাদের কোনো ভয় নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।’ (সুরা–১০ ইউনুস, আয়াত: ৬২)
মুত্তাকি অর্থ পরহেজগার, সতর্ক, সচেতন বা তাকওয়াবান ব্যক্তি, যার বহুবচন হলো মুত্তাকুন ও মুত্তাকিন। তাকওয়া শব্দের একটি প্রতিশব্দ হলো ‘খওফ’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা তার রবের সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে দুটি করে জান্নাত।’ (সুরা–৫৫ রহমান, আয়াত: ৪৬) তাকওয়া শব্দের আরেকটি প্রতিশব্দ হলো ‘খাশিয়াত’। আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তাআলা বলেন, ‘তুমি শুধু তাকেই সতর্ক করতে পারো, যে উপদেশ (কোরআন) মেনে চলে এবং না দেখেও দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে। তুমি তাকে ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা–৩৬ ইয়াছিন, আয়াত: ১১)
পবিত্র রমজানে ক্ষুধায় রোজাদারের উদর পোড়ে, তৃষ্ণায় বক্ষ জ্বলে। ক্ষুধা ও পিপাসার দহন জ্বালায় নফসকে দাহ করে পরিশুদ্ধ ও পাপতাপ দগ্ধ হয়ে, ভস্মীভূত হয়ে আত্মা পবিত্র হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা! তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের প্রতিও; যাতে তোমরা তাকওয়া (খোদাভীতি) লাভ করতে পারো।’ (সুরা–২ বাকারা, আয়াত: ১৮৩)
মানুষের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান নিয়ামত হলো হিদায়াত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে হিদায়াতের প্রার্থনা শিখিয়েছেন, ‘আমাদের সঠিক সরল পথ দেখান।’ (সুরা–১ ফাতিহা, আয়াত: ৪)
হিদায়াত প্রাপ্তির পূর্বশর্ত তাকওয়া। ‘এই কোরআন মুত্তাকিদের জন্য হিদায়াত।’ (সুরা–২ বাকারা, আয়াত: ২)
নফসে আম্মারা বা কুপ্রবৃত্তি মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই প্রবৃত্তি (নফস) সর্বদা মন্দের দিকে আহ্বান করে, তবে আমার প্রতিপালক যার প্রতি দয়া করে, সে ব্যতিক্রম।’ (সুরা ইউসুফ–১২, আয়াত: ৫৩)
নফসে আম্মারা হলো সেই মানসিক অবস্থা, যেখানে মানুষ তার কামনা–বাসনা, লোভ, হিংসা, ক্রোধ ও অন্য নেতিবাচক প্রবৃত্তির দ্বারা পরিচালিত হয়। পবিত্র রমজান তথা তাকওয়ার উদ্দেশ্য হলো এসব রিপুর ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভের নৈতিক শক্তি অর্জন করা। রাসুলুল্লাহ (সা.
মানুষের ইন্দ্রিয় লালসা থেকে বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো রোজা। দেহ ও মনকে অন্যায় ও নিষিদ্ধ কাজ ও বস্তু থেকে বিরত রাখাই রোজার উদ্দেশ্য। সারা জীবন এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার সক্ষমতা অর্জন করাই হলো রোজার সফলতা।
মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম
[email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল ল হ ত আল ল ল হ ত আল র জন য ত কওয়
এছাড়াও পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (১-৭ নভেম্বর)
সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।
পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্রী ড. চিন্ময় চৌধুরী মিথুন।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (২৫-৩১ অক্টোবর)
এ সপ্তাহের রাশিফল (১৮-২৪ অক্টোবর)
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): পেশাগত উৎকর্ষতা বাড়বে। প্রেম ও রোমাঞ্চ শুভ। ব্যবসা বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে। কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। পেশাগত সফলতা পাবেন। আয় উন্নতির সুযোগ পাবেন। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন।
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): পারিবারিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। তবে প্রিয়জনের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। মানসিকভাবে চাঙা থাকার জন্য রাগ, ক্ষোভ, হতাশা নিয়ন্ত্রণ করুন। পেশাগত বিষয়ে সফলতা আসার সম্ভবনা আছে। প্রভাবশালী কারো সহযোগিতা পেতে পারেন। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ।
মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): আর্থিক যোগাযোগ শুভ। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ। কর্মের জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক দিক শুভ। যানবাহন চলাচলে সতর্ক থাকুন। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য বেশ ভালো সময়। শারীরিক বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অর্থ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): অফিসিয়াল নিয়মকানুন সম্পর্কে সচেতন হোন। পারিবারিক জীবনে পারস্পরিক সমঝোতা ও সহমর্মিতা বাড়ান। স্বাস্থ্য সচেতন হোন। প্রেমে সফলতা পাবেন। আয় উন্নতির সুযোগ পাবেন। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। পারিবারিক বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): পেশাগত সফলতা পাবেন। আয় উন্নতির সুযোগ পাবেন। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। কেনাকাটায় প্রতারিত হতে পারেন। প্রেমে সতর্ক থাকুন। বিদেশ যাত্রায় বিলম্ব হতে পারে।
কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা কঠিন হবে। চাকরিস্থলে কাজের চাপ বাড়বে। পাওনা টাকা নিয়ে জটিলতা বাড়বে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ নয়। আপনজনের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। আর্থিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। যথেষ্ট ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটবে।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): কাজকর্মে নতুন উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে মান অভিমান হতে পারে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কঠিন হবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে আর সতর্ক হওয়া উচিত। কর্মক্ষেত্রে সুনাম ও মর্যাদা বাড়বে।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): নিজের উপর আত্মবিশ্বাসী হন। সামাজিক সুনাম বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততা বাড়বে। রোমান্টিক বিষয়ে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। ব্যবসায়িক জায়গায় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): উত্তেজনা প্রশমন করা খুব দরকার। আর্থিক বিষয় আপনার অনুকূলে থাকবে। পেশাগত সফলতা পাবেন। সবার সঙ্গে সংযত আচরণ করুন। নানামুখী চাপ বাড়বে। শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করতে পারেন। আপনার পরিচিত পরিমণ্ডলে আপনার সুনাম বাড়বে।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): সবার সঙ্গে স্বাভাবিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অন্যথায় সমস্যায় পড়তে হবে। কুৎসা ও কান কথাকে প্রশ্রয় দিবেন না। অনেকেই দূর ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। পরিকল্পিতভাবে সময়কে কাজে লাগান, সফলতা আপনার করায়ত্তে। পারিবারিক জীবনে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): লক্ষ্য অর্জনে সফলতা পাবেন। পেশাগত কাজে কঠোর পরিশ্রম হবে। নেতৃত্বে সফলতা পাবেন। দাম্পত্য জীবন ভালো যাবে। কর্মসূত্রে ভ্রমন হবে। প্রিয়জনের সঙ্গে গভীর আন্তরিক সম্পর্ক বজায় থাকবে। আত্মীয় স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। মানবতামূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে পারেন।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): পরিবারকে প্রয়োজনীয় সময় দিন। অর্থ প্রাপ্তিযোগ শুভ। ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুভ। প্রেমে জটিলতা বাড়তে পারে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় আপনার অনুকূলে থাকবে না। গোপনীয়তায় বজায় রাখুন। সময় সম্পর্কে সচেতন হোন।
ঢাকা/ফিরোজ