নোবিপ্রবিতে ২০ মার্চ থেকে ছুটি শুরু, বন্ধ থাকবে হল
Published: 18th, March 2025 GMT
জুমাতুল বিদা, শব-ই-কদর ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। ছুটি চলকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসসমূহ আগামী ২০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল এবং অফিসসমূহ ২৩ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।এছাড়াও ৪ এপ্রিল ও ৫ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে ২ ছাত্রদল নেতার জন্য মাস্টার্স চালু
নোবিপ্রবিতে কোডিং পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে জুমাতুল বিদা, শব-ই-কদর ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নোবিপ্রবির ক্লাসসমূহ আগামী ২০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রম আগামী ২৩ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইনস্টিটিউট, বিভাগ, দফতর ও শাখাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস ত্যাগের পূর্বে পানির কল, ফ্যান, লাইট, এসিসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির সংযোগ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ছুটি চলাকালে জরুরি কার্য সম্পাদনের জন্য স্ব-স্ব বিভাগ ও দপ্তর প্রধানগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে হল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র মাহে রমযান ও ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি উপলক্ষে আগামী ২২ মার্চ (শনিবার) থেকে ৪ এপ্রিল (শুক্রবার) পর্যন্ত আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকবে। আগামী ৫ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে আবাসিক হলসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।
শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার পূর্বে কক্ষের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ অফ করে এবং দরজা জানালা বন্ধ করে হল ত্যাগের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে হল প্রশাসন।
অন্যদিকে, ঈদের ছুটি শেষে আগামী ৬-৮ এপ্রিলের অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সকল বিভাগের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ঈদ-উল-ফিতর এর ছুটি শেষে আগামী ৬-৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সব বিভাগের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে যথারীতি পরীক্ষা চলবে। স্থগিতকৃত পরীক্ষা সমূহের পরিবর্তিত তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব র জন য পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ কবে হবে, সে বিষয়ে আর সময়সীমার কথা বলছে না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ অধ্যাদেশ হবে। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষ হচ্ছে আজ বুধবার।
সচিবালয়ে আজ ‘মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইন সংশোধনীর ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকার পক্ষে নন তিনি। শ্রমিক–মালিকদের স্বার্থ রক্ষাসহ শিগগিরই তা করা হবে। বিষয়টি এখন কোন প্রক্রিয়ায় আছে, তা বলতে রাজি হননি শ্রম উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। তিনি আরও বলেন, ‘একসময় স্লোগান ছিল দুনিয়ার মজদুর, এক হও।’ এখন তা বদলে গেছে। এখন হবে ‘দুনিয়ার মালিক-শ্রমিক, এক হও’। এখন ভালো মালিকেরা শ্রমিকদের সন্তানের মতো মনে করেন।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ১০১টি ধারা ও উপধারা সংশোধন হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আইএলওর বৈঠকে যোগ দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে যে দলটি জেনেভা সফর করে, সেখানে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সরকার ও শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর তৎকালীন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে। উপদেষ্টা তখন এ–ও বলেছিলেন, আগের সরকারের আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) নেতৃত্বাধীন দলকে আইএলও পর্ষদে অপদস্থ করা হয়েছিল। অথচ এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো নিয়ে বরং প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল।
জানা গেছে, শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে ঘাটতির অভিযোগ এনে জাপানসহ ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে আইএলওতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো চলমান।
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদিকে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদকে (টিসিসি) শ্রমিকপক্ষ জানিয়েছে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস আর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ–স্কুল পর্যায়ে রচনা ও প্রবন্ধ লেখার ওপরে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ ছাড়া শ্রম অধিকার বিষয়ে প্রকাশিত বা প্রচারিত মানসম্মত সংবাদ বা স্থিরচিত্র যাচাই করে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের দেওয়া হবে পুরস্কার।