নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ ম্যাজিক সিরিজের জন্য সাত বছরের অ্যান্ড্রয়েড ওএস এবং নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) আপডেট পরিষেবা দেবে সুপরিচিত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার। ইউরোপের (ইইউ) গ্রাহকরা প্রথমে আপডেট সুবিধা পাবেন। দ্রুতই বাংলাদেশি গ্রাহকের জন্য এমন অফার প্রযোজ্য হবে।
অনার আলফা প্ল্যানের অংশ হিসেবে বর্ধিত সাপোর্ট ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস গ্রাহককে সর্বশেষ এআই উদ্ভাবনের সুবিধা গ্রহণ ও দীর্ঘ সময়ের জন্য সুরক্ষিত থাকতে সহায়ক হবে।
অনার ব্র্যান্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস লি বলেন, আলফা প্ল্যান ভবিষ্যতে পণ্য উদ্ভাবনে গ্রাহকবান্ধব নীতিতে কাজ করবে। এমন কৌশলের অংশ হিসেবে ম্যাজিক সিরিজের জন্য সাত বছরের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) আর নিরাপত্তা আপডেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ ও ফোল্ডেবল ফোন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ম্যাজিক-সেভেন প্রো মডেলে গ্রাহকের প্রতি পরিষেবার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে।
ব্র্যান্ড সূত্রে জানানো হয়, স্মার্টফোন নির্মাতা থেকে এআই সমর্থিত ডিভাইসকে ইকোসিস্টেমে রূপান্তর হওয়ার লক্ষ্যে ব্র্যান্ডটি আলফা প্ল্যান গ্রহণ করেছে। দূরদর্শী পরিকল্পনায় তিনটি ধাপ রয়েছে, যার মাধ্যমে নতুন ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। আলফা প্ল্যানে এমন সব পরিকল্পনার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
বর্ধিত সিকিউরিটি আপডেট টেকসই উন্নয়নের মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিভাইসের স্থায়িত্ব বা আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি ছাড়াও ই-বর্জ্য হ্রাসে সহায়ক হবে। নিরাপদে দীর্ঘ সময় ধরে ডিভাইস ব্যবহার এবং উপভোগ নিশ্চিত করবে অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি সমর্থিত বিশেষ সব ফিচার।
আইএফএ ২০২৪ পুরস্কার বিজয়ী মডেলটি উদ্ভাবনী ফিচারে বাংলাদেশের স্মার্ট ডিভাইস ভক্তদের অভিজ্ঞতাকে ভিন্ন মাত্রায় সমৃদ্ধ করবে বলে ব্র্যান্ড নির্মাতারা জানান।
২০২৪ সালে বিশ্বের আলোচিত স্লিম ফোল্ডেবল এআই স্মার্টফোনের স্বীকৃতি পাওয়া ম্যাজিক ভি-থ্রি মডেল বাংলাদেশে উন্মোচিত হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য আপড ট

এছাড়াও পড়ুন:

সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে

সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ  ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।

একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের  প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে,  মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • ২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ