খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের এক কর্মী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকালে মাটিরাঙ্গার তাইন্দং হেডম্যান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম অন্তিম ত্রিপুরা। তিনি মায়াকুমার পাড়া বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত অন্তিম ত্রিপুরার ছোট বোন তারাপতি ত্রিপুরা (২০) আহত হয়েছেন। 

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, তাদের সাধারণ কর্মীদের ওপর দুর্বৃত্তের অতর্কিত হামলায় অন্তিম ত্রিপুরা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এ সময় তার ছোট বোন আহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তিনি সন্তু লারমার জেএসএসকে দায়ী করেছেন।

তবে এ বিষয়ে সন্তু লামরা দলের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার এসআই আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা রেজা জানান, ঘটনাস্থল উপজেলার দুর্গম এলাকায় হওয়া নিহতের নাম পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ