খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের এক কর্মী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকালে মাটিরাঙ্গার তাইন্দং হেডম্যান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম অন্তিম ত্রিপুরা। তিনি মায়াকুমার পাড়া বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত অন্তিম ত্রিপুরার ছোট বোন তারাপতি ত্রিপুরা (২০) আহত হয়েছেন। 

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, তাদের সাধারণ কর্মীদের ওপর দুর্বৃত্তের অতর্কিত হামলায় অন্তিম ত্রিপুরা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এ সময় তার ছোট বোন আহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তিনি সন্তু লারমার জেএসএসকে দায়ী করেছেন।

তবে এ বিষয়ে সন্তু লামরা দলের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার এসআই আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা রেজা জানান, ঘটনাস্থল উপজেলার দুর্গম এলাকায় হওয়া নিহতের নাম পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত, নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। শুক্রবারের মধ্যে নতুন করে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিশনের কাজ শুরু করার আশ্বাসে তাঁরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শুক্রবারের মধ্যে কমিটি গঠন না হলে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বুধবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুয়া নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা বাইরে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি ওয়াদা ভঙ্গকারী নই। যে কথা আমি রাখতে পারব না, সেই কথা বলব না। বিধিমালার বাইরে আমি কোনো কাজ করব না। আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিটির কাজ শুরু করব। আমি এমন কোনো অ্যাডহক কমিটি করব না, যার জন্য আমাকে আবার ধাক্কা খেতে হয়। এমন অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করব, যেন নৈতিকতা ও মেরুদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্যের আশ্বাসে আমরা আজকে আন্দোলন স্থগিত করছি। কালকের মধ্যে অ্যাডহক কমিটি না হলে আমরা আবার একই স্থানে এসে আন্দোলন করব। আমাদের সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ