গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 19th, March 2025 GMT
ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাকটরদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গোপালগঞ্জে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন গোপালগঞ্জ পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে চন্দ্রদিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এর ফলে সড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দিলে ১ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
অবিলম্বে অযৌক্তিক রায় বাতিল করতে হবে এবং পূর্বের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে।
আরো পড়ুন:
ঈদযাত্রায় রোডক্র্যাশ কমাতে তরুণদের ৯ সুপারিশ
দেড় ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু
ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাকটরদের পদনাম পরিবর্তন করে ল্যাব এসিস্ট্যান্ট/কারখানা সহকারী/ ওয়ার্কশপ খালাসি অথবা অন্য কোনো নামে নামকরণ করতে হবে।
ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাকটরদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যৌগ্যতা পূর্বের ন্যায় এইচএসসি (ভকেশনাল) করতে হবে।
২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত সব নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইনস্ট্রাকটরদের পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে টেকনিক্যাল পদে-নন টেকনিক্যাল লোক নিয়োগ দিতে পারবে না।
ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাকটরদের নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিকের ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজিস সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী মো.
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন গ প লগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”
আরো পড়ুন:
কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”
কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”
ঢাকা/শান্ত