রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর এবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার জেলেনস্কি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে জ্বালানি সুবিধাগুলিকে কেন্দ্র করে যে কোনও সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করা।

মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় সাময়িকভাবে আক্রমণ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন, কিন্তু ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

জ্বালানি অবকাঠামোর উপর আক্রমণ বন্ধে সীমিত অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই বুধবার মস্কো এবং কিয়েভ একে অপরের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে।

হেলসিঙ্কিতে ফিনিশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সাথে এক যৌথ প্রেসি ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি জানান, পুতিনের কথাই যথেষ্ট নয় এবং ইউক্রেন জ্বালানি সুবিধার একটি তালিকা সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা এটি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে।

তিনি বলেছেন, “আমি সত্যিই চাই সেখানে নিয়ন্ত্রণ থাকুক। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে এই নিয়ন্ত্রণের মূল এজেন্ট হওয়া উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদি রাশিয়ানরা আমাদের স্থাপনায় আক্রমণ না করে, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের স্থাপনায় আক্রমণ করব না।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ