Samakal:
2025-07-31@21:58:54 GMT

কুশিয়ারায় বিলীন কালারবাজার

Published: 20th, March 2025 GMT

কুশিয়ারায় বিলীন কালারবাজার

কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল রাজনগরের কালা মিয়ার কালারবাজার। নদীভাঙনে লীন হয়ে বাজারটি হারিয়েছে অতীত জৌলুস ও ঐতিহ্যগাথা।

একই সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নের অভাবে এ উপজেলার কামালপুর এবং শাহপুর গ্রামে থামছে না নদীভাঙন। এতে নদীতে বিলীন হচ্ছে মসজিদ, মানুষের ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে সড়কের পাশের সরকারি ভূমিতে ঘরবাড়ি অনেকের  মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়েছে।

জানা যায়, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ছিক্কাগাঁওয়ের কালা মিয়া এলাকাবাসীর সুবিধার্থে কুশিয়ারা নদীর তীরে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নিজস্ব ভূমিতে কালারবাজার গড়ে তোলেন। কালের পরিক্রমায় জমজমাট বাজারটির মূল ভূখণ্ড ভাঙনে নদীতে চলে গেছে। এখন ভাঙন ধরেছে নিকটবর্তী কামালপুর গ্রামে। বর্তমানে হলদিগুল-মৌলভীবাজার সড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বাজারের ব্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, এক সময় আশপাশের এলাকার পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচার প্রধান হাট ছিল কালারবাজার। সাপ্তাহিক হাটবার সোম ও শুক্রবারে কাউয়াদীঘি হাওরপারের ব্যাপক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটত। ভাঙনের কবলে পড়ে এ বাজারের মূল ভূখণ্ডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে গেছে নদীতে। ফলে বাজারের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবসায়ীদের অনেকেই ক্ষয়ক্ষতি কুলিয়ে উঠতে না পেরে নিঃস্ব হয়েছেন। তখনকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে হোসেন আহমেদ সড়কের পাশে রড, সিমেন্টের ব্যবসা করছেন। কামালপুর গ্রামের আব্দুল মন্নাফ জানান, কুশিয়ারা গাঙ ভরাটের লগে লগে ভাঙনও দিন দিন বাড়ছে। এতে কালারবাজার মূল ভিটাগুলো নিচ্ছিন্ন হওয়ার পর কামালপুর, সুরিকোণা, ছিক্কাগাঁও, ফতেপুর ইউনিয়নের শাহপুরসহ বিভিন্ন লোকালয়, ফসলি জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙন কবলে পড়েছে।

তিনি জানান, গত কয়েক বছরের নদীভাঙনে তাদের পরিবারের প্রায় দুই একরের বেশি জমি কুশিয়ারা গ্রাস করে নিয়েছে। বর্তমানে বসতভিটা ভাঙনের মুখে রয়েছে। ফতেপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ফজর আলী জানান, তাদের গ্রামের পূর্বদিকে রাস্তার পাশ দিয়ে খেলার মাঠ ছিল। সব ভেঙে পড়েছে নদীর মাঝে। এর পর মসজিদসহ অন্যান্য স্থাপনার সঙ্গে সুরমান আলী, সাবেক মিয়া, বিবিজি রহমত, মিরাশ মিয়াসহ অর্ধশতাধিক মানুষের ঘরবাড়ি কুশিয়ারা গ্রাস করেছে। ঘরবাড়িহারা অনেকে কাউয়াদীঘি হাওরের খাস ভূমিতে নতুবা সড়কের পাশে সরকারি ভূমিতে বসবাস করছেন।

একই গ্রামের দবির আলী জানান, বর্ষা মৌসুম এলেই বানের পানিতে ভাসতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন কবলে পড়ে ৫০টির বেশি পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। এখন ভাঙনের মুখে রয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান ইসরাফিল মিয়ার বাড়িসহ অনেকের বসতভিটা। নদীভাঙন প্রতিরোধে রাজনগরের শাহপুর, আব্দুল্লাহপুর, কালারবাজার এলাকায় স্থায়ী কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করায় নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তিনি ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ভাঙনস্থলে জিওব্যাগভর্তি বালু ফেলা ও ব্লক বসানো এবং বন্যার কবল থেকে রক্ষায় নদীর তীরে বাঁধ স্থাপনের দাবি জানান।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

খালেদ ইবনে অলীদ সমকালকে বলেন, কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী মৌলভীবাজার সদরের শেরপুর থেকে রাজনগরের খেয়াঘাট পর্যন্ত লোকালয়ে বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ এবং ভাঙন মোকাবিলায় ব্লক বসানোর লক্ষ্যে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। 
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল রব জ র সড়ক র প শ নদ র ত র র ব যবস র জনগর ঘরব ড়

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে নোড়ার আঘাতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় মসলা বাটার নোড়া (শিল) দিয়ে আঘাত করে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খোয়াজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক।

নিহত গৃহবধূর নাম কুলসুমা বেগম (৪০)। তিনি খোয়াজনগর গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী। দুজনের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোরে পারিবারিক নানা বিষয়ে কুলসুমার সঙ্গে তাঁর স্বামীর ঝগড়া হয়। এ সময় স্বামী আজিজুল কুলসুমাকে কয়েক দফা মারধর করেন। একপর্যায়ে মসলা বাটার একটি নোড়া দিয়ে কুলসুমার মাথায় আঘাত করা হয়। এ সময় কুলসুমা অচেতন হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরীফ হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বাগ্‌বিতণ্ডা মধ্যে স্বামীর নোড়ার আঘাতে কুলসুমার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর স্বামী পলাতক। তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। নিহত কুলসুমার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে নোড়ার আঘাতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক