শরীয়তপুরে হিজবুত তাওহীদের ৪ নারী সদস্য আটক, মুচলেকায় মুক্তি
Published: 20th, March 2025 GMT
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় হিজবুত তাওহীদের প্রচার চালানোর সময় চার নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের থানায় নেওয়া হলেও পরে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ডুবিসায়বর বন্দর কাজিরহাট এলাকায় তারা লিফলেট ও বই বিতরণ করছিলেন।
আটককৃতরা হলেন—শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার এলাকার সুমন আহমেদের স্ত্রী মিতু আক্তার (২৫), পশ্চিম সোনামুখির রেজাউল সরদারের মেয়ে ডলি আক্তার (১৯), তুলাসারের মোস্তাকিন হোসেন মিরাজের স্ত্রী তমা রহমান (১৮) এবং নড়িয়া উপজেলার নসাশন এলাকার আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৪০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কাজিরহাট এলাকায় কয়েকজন নারী হিজবুত তাওহীদের লিফলেট ও বই বিতরণ করছিলেন। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসার পর তারা বাধা দেন এবং ওই চার নারীকে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, স্থানীয়দের আপত্তির মুখে ওই নারীদের আমরা থানায় নিয়ে আসি। পরে যাচাই-বাছাই করে এবং অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, হিজবুত তাওহীদের প্রচার কার্যক্রম নিয়ে এলাকায় আগে থেকেই উদ্বেগ রয়েছে। তারা মনে করেন, সংগঠনটির কার্যক্রম সন্দেহজনক ও বিতর্কিত। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটক নারীদের কাছ থেকে পাওয়া লিফলেট ও বই পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//