বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
Published: 20th, March 2025 GMT
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাসগুলোর। বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ বাসগুলোতে ঘরমুখো মানুষেরা যাত্রা শুরু করবে আগামী ২৫ মার্চ থেকে।
বিআরটিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অনুপম সাহা জানিয়েছেন, ঈদের সময় বিশেষ ব্যবস্থায় বাস চালানোর বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে। এবার ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৭৭৫টি বাস প্রস্তুত করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে চলাচল করবে ৪৭০টি বাস। বিআরটিসির মোট ১২৪৫টি গাড়ি ঈদ স্পেশাল সার্ভিস হিসেব কাজ করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআরটিসির অপারেশন বিভাগ জানায়, আজ ২০ মার্চ থেকে বিআরটিসির ডিপো থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্তের বাসের টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হবে। ঢাকার মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাড়া) থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে।
যে ডিপো থেকে যেসব রুটের বাস চলবে
রাজধানীর মতিঝিল বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট রুটের বাসের টিকিট।
কল্যাণপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে আরিচা, পাটুরিয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল রুটের বাসের টিকিট।
গাবতলী ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ, পাটুরিয়া, বগুড়া রুটের বাসের টিকিট।
জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নওগাঁ, বরিশাল, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল রুটের বাসের টিকিট।
মিরপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, মাওয়া, পাটুরিয়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, ভাটিয়াপাড়া, ময়মনসিংহ রুটের বাসের টিকিট।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব আরট স র
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।