Samakal:
2025-06-16@00:33:28 GMT

সতর্কতা ও নজরদারি জরুরি

Published: 20th, March 2025 GMT

সতর্কতা ও নজরদারি জরুরি

রা জধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জনপদ নারায়ণগঞ্জ হইতে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসাপ্রধান আতাউল্লাহসহ ১০ জনের গ্রেপ্তার যুগপৎ স্বস্তি ও উদ্বেগের বিষয়। আমরা জানি, মিয়ানমার হইতে বাংলাদেশে আশ্রিত জনগোষ্ঠীর একাংশ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়াইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীও এইভাবে দেশের কেন্দ্রীয় এলাকায় আসিয়া ঘাপটি মারিয়া থাকিবার বিষয় নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। ইহাও ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত, আরসার একাংশ রোহিঙ্গা শিবিরকেন্দ্রিক অপহরণ, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সংশ্লিষ্ট। ২০২১ সালে রোহিঙ্গাদের জনপ্রিয় নেতা মহিবুল্লাহ হত্যায় আরসার নাম প্রচারিত হইবার পর রোহিঙ্গা শিবিরে তাহারা চাপে পড়ে। ফলে এই সময়ে সশস্ত্র সংগঠনটির শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তার রোহিঙ্গাদের জন্যও খুশির বিষয়। বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংগঠনিকভাবে আরসা কোণঠাসা। কারণ উহারা মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ হইয়া আরাকান আর্মির সহিত লড়াই করিয়া পরাস্ত। দলটির নেতারা যখন নূতন আশ্রয় খুঁজিতে বাংলাদেশে আসিয়াছে তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাহাদের ধরিতে সক্ষম হইয়াছে। তবে উহাদের গ্রেপ্তার স্বস্তির বিষয় হইলেও শঙ্কা এখনও দূরীভূত হয় নাই।

অভিযোগ উঠিয়াছে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ব্যবহারপূর্বক মিয়ানমার আর্মির চেকপোস্টে হামলা করাইয়াছিল আরসা। ইহার পর আরাকান আর্মির সহিত রাখাইনে সংঘাত আরম্ভ হইলে আরসাকে প্রলোভন দেখাইয়া ব্যবহার করে জান্তা সরকার। তাহাদের বলা হয়, আরাকান আর্মিকে পরাজিত করিতে পারিলে স্ব-ভূমিতে ফিরাইয়া আনা হইবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের। তবে জান্তা সরকার পরাজিত হইবার পর তথায় বেকায়দায় পড়ে আরসা ও সাধারণ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক খুনোখুনি ও নানা অপরাধে আরসা নেতা আতাউল্লাহর বিরুদ্ধে দুই ডজনের অধিক মামলা রহিয়াছে। ২০২২ সালে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রের নিকট মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হইয়াছিলেন সেনা গোয়েন্দা সংস্থার জনৈক কর্মকর্তা। ঐ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিও আতাউল্লাহ। 

এমন সময়ে আরসার শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হইয়াছে, যাহার কিছুদিন পূর্বেই প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করিয়া তাহাদের সহিত ইফতার করিয়াছিলেন। যথায় প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করিয়াছেন, রোহিঙ্গারা আগামী ঈদ তাহাদের জন্মভূমিতে করিতে পারিবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন লইয়া আশাবাদের সহিত তাহাদের খাবারের বরাদ্দ অর্ধেকে নামিয়া আসিবার দুঃসংবাদও রহিয়াছে। তবে রোহিঙ্গাদের অপরাধী কিংবা সন্ত্রাসী বানাইবার দায় আরসা উপেক্ষা করিতে পারে না। আমরা মনে করি, সাধারণ রোহিঙ্গারা শান্তিকামী। কিন্তু রোহিঙ্গা শিবিরকেন্দ্রিক মাদক ও চোরাকারবারির যেই অপরাধের অভিযোগ, তাহার পশ্চাতে রহিয়াছে সশস্ত্র সংগঠন আরসা।
স্বাভাবিক কারণেই আরসা যদ্রূপ রোহিঙ্গাদের বন্ধু নহে, তদ্রূপ বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। তজ্জন্য সংগঠনটির প্রতি শূন্য সহিষ্ণুতা প্রদর্শন জরুরি। অস্বীকার করিবার উপায় নাই, রোহিঙ্গা শিবিরে আরসার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণেই রোহিঙ্গাদের প্রতি স্থানীয় ‘হোস্ট কমিউনিটি’ ও দেশব্যাপী এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা তৈয়ার হইয়াছে। এমনকি রোহিঙ্গারা যখন নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হইয়াছে, তখন তাহাদের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অনুজ্জ্বল। এতদ্ব্যতীত আরসার কর্মকাণ্ডে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও হুমকির মুখে। সেই কারণেই সশস্ত্র সংগঠনটির প্রতি কোনো রকম দুর্বলতা প্রদর্শনের অবকাশ নাই।

এই আশঙ্কা অমূলক হইতে পারে না, বেকায়দায় থাকা আরসার অনেক নেতাকর্মী দেশব্যাপী ছড়াইয়া পড়িতে পারে। তজ্জন্য তাহাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখিতে হইবে। দেশ হইতে আরসার মূলোৎপাটন করিতে না পারিলে উহা নিরাপত্তা সংকট তৈয়ার করিবে। সীমান্তে আরসা শুধু নয়, তৎসহিত অপরাপর সশস্ত্র সংগঠনের দিকেও শ্যেনদৃষ্টি দিতে হইবে। কোণঠাসা আরসা নেতারা যখন নূতন আশ্রয় খুঁজিতেছে, তখন বাংলাদেশে যাহাতে তাহারা সেই সুযোগ না পায়, উহা নিশ্চিত করিতেই হইবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সশস ত র স গঠন ন আর ম র সহ ত আর ক ন অপর ধ আরস র হইয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাইজিং ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদ হাসান খান। তাঁর নেতৃত্বাধীন নবনির্বাচিত পর্ষদ ২০২৫-২৭ সাল মেয়াদে পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ এই সংগঠনটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে আজ শনিবার সংগঠনটির নতুন সভাপতিসহ সাতজন সহসভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিজিএমইএর নির্বাচন বোর্ডের এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন বোর্ড জানায়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রতিটি পদে কেবল একটি করে বৈধ মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে এবং কোনো আপিল দায়ের হয়নি। এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন না হওয়ায় সব প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

নতুন কমিটিতে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কেডিএস গ্রুপের এমডি সেলিম রহমান। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অনন্ত গার্মেন্টসের এমডি ইনামুল হক খান। সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সফটেক্স সোয়েটারের এমডি মো. রেজওয়ান সেলিম, ফেব্রিকা নিট কম্পোজিটের এমডি মিজানুর রহমান (অর্থ), দেশ গার্মেন্টসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ডিএমডি ভিদিয়া অমৃত খান, এমিটি ডিজাইনের এমডি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী এবং ফ্যাশন ওয়্যারের এমডি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী।

২০২৫-২৭ সাল মেয়াদে বিজিএমইএর পরিচালনা কমিটির নতুন সদস্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখনো নজরদারি ও অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে: আর্টিকেল নাইনটিন
  • ধাপে ধাপে ইরানে হামলার যে কৌশল নেয় ইসরায়েল
  • তারুণ্যের ভাবনায় লাল সবুজ সোসাইটি
  • বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা
  • ‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’
  • করোনা প্রতিরোধে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা