Samakal:
2025-11-02@06:59:58 GMT

হামজা একাই সব করবেন না

Published: 21st, March 2025 GMT

হামজা একাই সব করবেন না

ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়ার চোখে হামজা চৌধুরী হলেন বাংলাদেশের ‘মেসি’। ক্লাব কিংবা জাতীয় দলে অনেক সময় একাই খেলার মোমেন্টাম চেঞ্জ করে দিতেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা দলে মেসি থাকা মানে প্রতিপক্ষের তিন থেকে চার ফুটবলার তাঁকে পাহারা দেওয়া। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামালের কথাতে স্পষ্ট, হামজাকে থামাতে হলে ভারতের কয়েকজন ফুটবলারকে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতার সবচেয়ে জনপ্রিয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হামজা চৌধুরীর সামর্থ্য নিয়ে কারও কোনো সংশয় নেই। 

তবে শেফিল্ড ইউনাইটেডের এ ফুটবলার একাই সব করে দেবেন না বলে মনে করেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ আলফাজ আহমেদ, ‘এক হামজাকে দিয়ে তো বাংলাদেশের ফুটবল হবে না। হামজা আসাতে বাংলাদেশের ফুটবলের সুনাম হয়েছে। বলতে পারেন হামজার কারণে ফুটবলের জোয়ার উঠেছে। ফুটবলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তবে আমি এটাও বলতে চাই, হামজা কিন্তু একাই ফুটবল খেলে না। দলের ১১ জনকেই খেলতে হবে।’

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে গতকাল বিকেলে শিলংয়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ঢাকা থেকে শিলং পর্যন্ত সবার মধ্যমণি ছিলেন হামজা। লেস্টার সিটিতে সাফল্যের গল্পগুলো ভ্রমণের সময় সতীর্থদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি। আর তাঁকে পেয়ে পুরো দল উজ্জীবিত। হামজা পরিচিত মূলত ডিফেন্ডার হিসেবে। লেস্টার সিটি ও শেফিল্ডে এই পজিশনে খেলতে দেখা গেছে তাঁকে। ভারতের বিপক্ষে তাঁকে মধ্যমাঠে দেখার সম্ভাবনা বেশি। যদিও কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা হামজার পজিশন নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। তবে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ের পরিকল্পনায় নামবে বলে হামজার কাঁধে মাঝমাঠের দায়িত্ব পড়তে পারে। আবার এমনটাও হতে পারে অবসর ভেঙে ফেরা সুনীল ছেত্রিকে আটকানোর চ্যালেঞ্জ কোচ তাঁকে দিতে পারেন।

হামজা যে পজিশনে খেলেন না কেন, তাঁর ওপর যেন দল নির্ভরশীল না হয়, সেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন আলফাজ আহমেদ। আর হামজা যে ভালো ফুটবলার, সেটা মাঠেই তাঁকে প্রমাণ করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক এ ফুটবলার, ‘এখনও তো সে খেলে নাই। খেলার পর পরিপূর্ণতা পাবে যে সে ভালো খেলোয়াড়। তার যে অবস্থান, তাতে প্রমাণ করার কিছু নাই। তার পরও তাকে প্রমাণ করতে হবে বাংলাদেশ জিততে পারে, ভালো খেলতে পারে।’ 

হামজার পজিশন নিয়ে কিছু না বললেও তাঁর উপস্থিতিতে দলের মধ্যে পরিবর্তন আসবে বলে বিশ্বাস বাফুফে এলিট একাডেমির কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের, ‘বিশ্বমানের প্লেয়ার যখন আসে, তখন টিমের সবকিছুতেই পরিবর্তন আসবে, এটা স্বাভাবিক। মানসিকতায় পরিবর্তন আসবে। উঁচু মানের প্লেয়ারের চলাফেরা সবকিছুই এখানকার খেলোয়াড়রা অনুসরণ করবে। তাকে দেখে শিখবে। তার আসাতে প্লেয়াররা উজ্জীবিত হবে এবং দলের শক্তিও বাড়বে।’

লেস্টার সিটির জার্সিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছিলেন; ২৭ বছর বয়সী হামজার মতো এত হাইপ্রোফাইল প্রবাসী ফুটবলার অতীতে আসেনি বাংলাদেশে। শুধু প্রবাসীই নন, তাঁর মতো তারকার আবির্ভাব দেশের ফুটবলে এটাই প্রথম। তাই তো হামজাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই উচ্ছ্বাস দেখা যায়। ভারতের বিপক্ষে জিতলে সেই উচ্ছ্বাসের পরিপূর্ণতা পাবে বলে বিশ্বাস ফুটবল-সংশ্লিষ্টদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি

চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।

গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ