আগামীকাল ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে
Published: 21st, March 2025 GMT
ঢাকার আকাশে আজ শুক্রবার সকাল থেকে ছিল মেঘের আনাগোনা। তাপমাত্রাও ছিল সহনশীল। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার থেকে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার রাজধানী ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটের কোথাও কোথাও ঝোড়ো বাতাসসহ মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে।
এ ছাড়া আগামীকাল দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও রাতের দিকে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু কম থাকবে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটি জেলায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তেঁতুলিয়ায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, আজ সবচেয়ে বেশি ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়, তারপর ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিরাজগঞ্জে। এ ছাড়া রাজশাহী, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরপর সিলেটের শ্রীমঙ্গলসহ দেশের প্রতিটি জেলায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
আগামীকাল চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের প্রতিটি জেলার কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া, বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবুল কালাম মল্লিক।
কয়েক দিন আগে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। রাজধানীর মহাখালীর শাহিনবাগ এলাকার বাসিন্দা রেজওয়ান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার সারা দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গরম লাগেনি। একটা স্বস্তির আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টি হোক।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।