ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মুসল্লিরা। এ ছাড়া গাজায় হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

গতকাল জুম্মার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস। সেখানে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাব, তারা যেন গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে উদ্যোগ নেয়। ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি আওরঙ্গজেবের সমাধিস্থলে হাত দেওয়া হয়, তাহলে এ দেশের মুসলমানরা বসে থাকবে না। প্রয়োজনে আওরঙ্গজেবের সমাধিস্থলের দিকে লংমার্চ করা হবে।
সংগঠনটির নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ভারতে মুসলমানদের ওপর আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে গাদ্দারি করেছে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হলে তা ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে।
সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি ঢাকা মহানগরের নেতারাও বক্তব্য দেন।

অন্যদিকে, জুম্মার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে খেলাফত মজলিস। গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সেখান থেকে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজসহ মিছিল বের করে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। এ সময় ফিলিস্তিনে মুসলমানদের রক্ষায় বিশ্বের সব মুসলমানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গতকাল বায়তুল মোকাররম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আগে থেকেই কর্মসূচি ঘোষণা করে অনেক সংগঠন। তবে দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ‘পুনর্বাসন প্রচেষ্টার’ প্রতিবাদেও বিক্ষোভ হওয়ার কথা ছিল। এসব কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকাল থেকে বায়তুল মোকাররমের সামনে সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

সরেজমিন দেখা যায়, পল্টন মোড়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের জলকামান ও এপিসি কার রাখা। পাশাপাশি দুটি প্রিজন ভ্যানও প্রস্তুত রাখে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রতিটি প্রবেশপথে ছিল কঠোর নজরদারি। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। নাইটিংগেল মোড়েও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নিরাপত্তার স্বার্থে মসজিদে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের ব্যাগ তল্লাশি করে পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও বিশেষ জ্যাকেট পরে নজরদারি চালান। 

গাজায় হামলার নিন্দা মির্জা ফখরুলের
ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে গাজায় রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় ফিলিস্তিন উপত্যকাটি যেন এখন এক ভয়াল মৃত্যুপুরী।

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার দাবি সিপিবির
ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন স্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শুক্রবার পুরানা পল্টন মোড়ে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সিপিবির প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। দলটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান হাসান তারিক চৌধুরী। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

প্রেস ক্লাবের সামনে বাসদের বিক্ষোভ
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় বর্বরতার প্রতিবাদ এবং সেখানে হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সদস্য জুলফিকার আলী ও নগর কমিটির সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন। সভাপতিত্ব করেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

ইসরায়েলি, মার্কিন ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের শপথ
গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলি, মার্কিন ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে শপথ নিয়েছে আমজনতার দল। দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত সবাইকে শপথ পড়ান। এর আগে তারা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় থেকে প্রেস ক্লাবের দিকে রওনা হলে সেনাসদস্যরা তাদের বায়তুল মোকাররমের দিকে ঘুরিয়ে দেন। কিছুক্ষণ সড়কে স্লোগান দিয়ে প্রেস ক্লাবের দিকে মিছিল নিয়ে যান।
এ ছাড়া গাজায় হামলার প্রতিবাদে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, শরীয়তপুর, রাঙামাটি, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, যশোর, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, পাবনা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক রব র র সদস য ইসর য় ল র স মন বর বর ফখর ল ইসল ম গতক ল ম সলম

এছাড়াও পড়ুন:

নেই নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড ও ছুটি

নিয়োগপত্র নেই। এ কারণে চাকরির নিশ্চয়তাও নেই। দেওয়া হয় না পরিচয়পত্র। নেই কর্ম ঘণ্টার হিসাব। তবে রয়েছে মজুরিবৈষম্য ও জীবনের ঝুঁকি। এ চিত্র খুলনার বরফকলে কর্মরত বরফ শ্রমিকদের।

অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত বরফকলের শ্রমিকেরা জানেন না মে দিবসের অর্থ। তারা শুধু এটুকু জানেন, কাজ থাকলে মজুরি পাবেন, অন্যথায় জুটবে না কিছু। খুলনার নতুন বাজার, রূপসা, শিপইয়ার্ড ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বরফ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এসেছে ঝুঁকি ও বৈষম্যের এই চিত্র।

সরেজমিনে জানা গেছে, লবণ পানি এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের সংমিশ্রণে বরফের প্রতিটি ক্যান তৈরি হয়। এ কাজে প্রচণ্ড ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যুসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এছাড়াও অধিকাংশ সময় হাত-পা ভিজে ঠান্ডা থাকায় ক্ষত থেকে ইনফেকশন হয়। এর বাইরে বুকে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগেন এখানকার শ্রমিকেরা। পাতলা বরফে অনেক সময় হাত-পা কেটে যায়। কিন্তু মালিক বা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন ধরনের অ্যাপ্রোন বা নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করেন না। তবে দুর্ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

আরো পড়ুন:

ফুড ডেলিভারিম্যান: খাবারের রাজ্যে অতৃপ্ত দিনরাত

মহান মে দিবস: শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সংস্কারে জোর সরকারের

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার, নিউমার্কেট, শিপইয়ার্ড, রায়েরমহল এবং রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি বরফকল রয়েছে। এর মধ্যে নতুন বাজার ও পূর্ব রূপসায় সর্বাধিক বরফকল রয়েছে। এসব কলে গড়ে দশ জন হিসেবে দেড় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।

রূপসার নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করেন মোহাম্মদ রাসেল হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি হলেও পরিবার নিয়ে রূপসার জাবুসা এলাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে এই বরফকলে কাজ করছেন তিনি। রাসেল জানান, তাদের মাসিক বেতন নেই। নেই নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র। মূলত উৎপাদনের উপর প্রতি পিস বরফের ক্যান অনুযায়ী ১২ টাকা হারে মজুরি পান। নামমাত্র এ মজুরিতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে সংসার ঠিকমতো চলে না।

‘‘তিন বছর আগে নির্ধারণ করা মজুরি এখনো চলছে। লোকসানের অজুহাতে মালিকপক্ষ মজুরি বাড়াতে চান না। তাদের মতো শ্রমিকদের কোন বেতন-বোনাস নেই। নো ওয়ার্ক, নো পে অর্থাৎ কাজ থাকলে মজুরি আছে কাজ না থাকলে নেই। মালিকদের এ সিদ্ধান্ত না মানলে চাকরিও থাকে না।’’ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন রাসেল হোসেন।

একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘গড়ে প্রতিমাসে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা মজুরি পাই। কিন্তু মাসিক খাবার খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া বাবদ ৩ হাজার টাকা চলে যায়।’’

তবে জাকির হোসেন ব্যাচেলর হওয়ায় কারখানার মধ্যেই থাকেন। বিয়ের পর এ কাজ করার ইচ্ছা নেই বলে জানান তিনি।

বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১-এ অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মোঃ সেলিম শেখ। তার জন্ম নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা হলেও কর্মসংস্থানের কারণে রুপসার বাগমারা গ্রামে বসবাস করছেন। তিনি জানান, বর্তমান বয়স ৮৪। ২০ বছর বয়স থেকেই বরফ কারখানার সঙ্গে জড়িত। প্রথমে হেলপার হিসেবে ২৫০০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে অপারেটর হিসেবে মাসিক ১৫ হাজার টাকা পান। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে কাজ শুরু করতে হয়। তবে সবসময় উৎপাদন না থাকলেও ২৪ ঘণ্টা কারখানায় থাকতে হয়। ছুটি পান না।

‘অ্যামোনিয়া গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। তবে তিনি কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হননি বলে জানান তিনি।

‘মায়ের দোয়া আইস এন্ড কোল্ড স্টোরেজে’র শ্রমিক জাকারিয়া হাওলাদার বলেন, ‘‘চার বছর বরফকলে কাজ করছি। চাকরির ভবিষ্যৎ নেই। শ্রম দিতে পারলে মজুরি হয়, না হলে হয় না। নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দেন না মালিকপক্ষ। বেতন বাড়ানোর কথা বললে তারা আমলে নেন না।’’

একই এলাকার ‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করছেন মোঃ মুন্না গাজী ও মোঃ হাসান শেখ। তারা নগরীর জিন্নাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তারা দুজনেই মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পান। এর বাইরে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা নেই।

‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’র ম্যানেজার আশিকুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সুরক্ষায় উদাসীন। এখানে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার মাঝেমধ্যেই লিক হয়। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৩২টি আইস উৎপাদনের ক্যানের প্লান্ট রয়েছে। তবে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ ক্যান বরফ উৎপাদন হয়। ছয়জন শ্রমিক কাজ করে বলে জানান তিনি।

‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ- ২'র ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘বরফের মূল ক্রেতা চিংড়ি ও সাদা মাছের ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে গ্রীষ্ম মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ ও দোকানে শরবত বিক্রেতারাও কারখানা থেকে বরফ কিনে নেন। গ্রীষ্ম মৌসুমের ৬ মাস চাহিদা থাকে এবং কিছুটা লাভের মুখ দেখা যায়। তবে শীত মৌসুমের ছয় মাস বরফের চাহিদা কম থাকে। তখন কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি দিয়ে লোকসান গুণতে হয়।’’

জামাল উদ্দিন স্বীকার করেন কারখানায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও তা এড়াতে কোন সরঞ্জাম নেই। তবে অপারেটরদের অ্যামোনিয়া গ্যাসের ঝুঁকি প্রতিরোধে মাক্স সরবরাহ করা হয়।

‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১'র মালিকপক্ষের প্রতিনিধি রিয়াদ-উল-জান্নাত সৈকত বলেন, ‘‘ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে না। কখনো লাভ, কখনো লোকসান এভাবেই চলছে। গত বছর কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ৯ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’’

তবে লাভ হলে শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে শ্রমিকদের সংগঠন রূপসা বেড়িবাঁধ হ্যান্ডলিং শ্রমজীবী ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন শেখ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘‘নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি বরফকলের ৪০ জন শ্রমিক তাদের ইউনিয়নের সদস্য। বিগত দেড় বছর আগে মজুরির সমস্যা নিয়ে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে দুই একজন শ্রমিক অভিযোগ করলে ইউনিয়নের মাধ্যমে সেটির সমাধান করে দেন তারা। কিন্তু বর্তমানে অভিযোগ নিয়ে কেউ আসে না।’’

বরফকলের শ্রমিকদের নিয়ে তারা মে দিবসের কর্মসূচি পালন করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তারা//

সম্পর্কিত নিবন্ধ