হামজা আসলে কতটা ভালো, কী বলছেন তাঁর বাংলাদেশ-সতীর্থ
Published: 23rd, March 2025 GMT
দুজনই মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তবে মাঝমাঠেও খেলেন। একজন মোহাম্মদ হৃদয়। বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য। আরেকজন নতুন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হামজা চৌধুরী। ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে দুজনকে কীভাবে ব্যবহার করবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, তা তিনিই জানেন। তবে হামজার দলভুক্তি বাংলাদেশের অন্য ফুটবলারদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা। বিশেষ করে মোহাম্মদ হৃদয়ের জন্য।
নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে আসা ২৩ বছর বয়সী হৃদয় জাতীয় দলের জার্সিতে ২২টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ২০২১ সাল থেকে। এখনো জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর কোনো গোল নেই। গোল করা নিয়ে আসলে ভাবছেনও না হৃদয়। গোল করানোর দিকেই বেশি মনোযোগ। আর তিনি নিজে উজ্জ্বীবিত হয়ে আছেন হামজার সঙ্গে খেলবেন ভেবেই।
গতকাল শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের শুরুতে ২৭ বছর বয়সী হামজাকে নিয়ে এক প্রশ্নে হৃদয় বললেন, ‘উনি অনেক ওপরের লেবেলের ফুটবলার। আমরা সবাই চেষ্টা করছি ওনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে।’
মানিয়ে নিতে সবাইকে অবশ্য কষ্ট করতে হচ্ছে না। হামজা নিজেই মানিয়ে নিয়েছেন। প্রথম দিন থেকেই তিনি দলের সঙ্গে মিশে গেছেন। সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের এই কথার প্রতিধ্বনি দলের সবার কণ্ঠেই। হামজা দলকে উজ্জ্বীবিত করছে কি না—এ প্রশ্ন করা হয়েছিল হৃদয়কে।
তিনি বললেন, ‘আমরা সব সময় ইতিবাচকভাবে সবাই সবার সঙ্গে কথা বলছি। যেভাবে খেললে টিমের জন্য ইতিবাচক ফল আসবে, সেভাবেই কথা বলি। হামজা ভাই আমাদের অনেক সহায়তা করছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছেন।’
কোনো পরামর্শ কি দেন হামজা? বা সতীর্থরা কি পরামর্শ চান? হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই চাই। আমরা তাঁর কাছে জানতে চাই কী করলে ভালো হয়। কোনটা আমার জন্য সবচেয়ে ভালো, সেহেতু আমরা মাঝমাঠে একই পজিশনে খেলছি, এসব জানতে চাই। তিনিও বলেন। পরামর্শ দেন। প্রতিটি মুহূর্তে ওনার কাছ থেকে শেখার আছে এবং আমরা শিখছিও।’
প্রশ্ন এসেছে, হামজা আসল কত ভালো? ‘যদি ভোট দিতে যাই আমি ওনাকে, ১০০–তে ১০০ দেব’—ঝপপট জবাব হৃদয়ের। সঙ্গে যোগ করেন, ‘আামাদের লেবেল আর ওনার লেবেলে অনেক পার্থক্য। এটা শুধু আমি নই, আপনারা সবাই জানেন।’
মাঠের বাইরে কী শিখছেন, তা জানতে চাইলে হৃদয়ের উত্তর, ‘আসলে ওনার চলাফেরা একেবারেই সাধারণ। বোঝাই যায় না এত বড় মাপের ফুটবলার। তাঁর চালচলন, মাঠে চলাফেরা, বিনয়—সবই আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। আমরা তাঁর সঙ্গ উপভোগ করছি।’
২৫ মার্চের ম্যাটটা জিতলে উপভোগের মাত্রাটা বাড়বে আরও।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫