ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে তাঁর খোঁজ মিলছে না। অথচ পলাতক এই ব্যক্তির করা একেকটি মামলার সূত্রে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক উপপরিদর্শক। লক্ষ্মীপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা।

পুলিশের কাছে পলাতক এই ব্যক্তির নাম আবুল কালাম ওরফে জহির। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে পাশের নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় পাঁচটি ও সোনাইমুড়ি থানায় একটি মাদকের মামলা রয়েছে। মামলাগুলোয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় চাঁদার দাবিতে তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ১০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়। গত ১৮ নভেম্বর আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেন ডিবির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রমজান আলী।

প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রমজান আলী উল্লেখ করেন, মামলাটি তিনি প্রকাশ্যে ও গোপনীয়ভাবে ব্যাপক তদন্ত করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদীকে মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বাদী মামলার অভিযোগের হুবহু বর্ণনা দেওয়ায় তা জবানবন্দি আকারে লিপিবদ্ধ করেছেন।

জানতে চাইলে পলাতক আসামি আবুল কালামের সঙ্গে দেখা হওয়া এবং তাঁর জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রমজান আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাদী আবুল কালামের বিরুদ্ধে মাদক মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। আবুল কালাম নিজেকে প্রবাসী বলে দাবি করেছেন।

আবুল কালাম বাদী হয়ে করা মামলাটিতে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে আসামিরা তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। মামলার নামোল্লেখ করা আসামিদের একজন নবম শ্রেণির ছাত্র। মামলাটি গ্রহণ করে আদালত ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

পলাতক থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, তিনি ১২ বছর এলাকায় থাকেন না। আগে সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে বসবাস করছেন। নোয়াখালীতে যেসব মাদক মামলায় তাঁকে জড়ানো হয়েছে, সেগুলোয় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি নন। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে তাঁকে জড়ানো হয়েছে।

জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, আবুল কালামের বিরুদ্ধে ছয়টি মাদকের মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ খুঁজছে। দ্রুত অবস্থান পরিবর্তনের কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত কর ছ ন পর য় ন তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের

প্রতিবছর বাঙালি হিন্দুদের সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অরাজকতা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’ শিরোনামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বক্তব্য দেন। মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস ১৯-২২ সেপ্টেম্বর, ঠিক হবে ‘রণকৌশল’
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের