বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি হতে দেওয়া যাবে না: আখতার হোসেন
Published: 23rd, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টি আগামীর বাংলাদেশে কোনোভাবেই বিভাজনের রাজনীতি হতে দেবে না। সবার জন্য এক বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথ নিয়ে রাজনীতি করতে চায় তারা। যেখানে বাংলাদেশের এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াবে। আজ শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনের নেভি কলোনিতে দলিত, হরিজন ও তফসিলি সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় এনসিপির গণমানুষের ইফতার আয়োজনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, ‘নতুন ধারার রাজনীতি তৈরি করতে আমরা মধ্যম পন্থা চর্চার কথা বলেছি। আমাদের রাজনীতির শপথ এক বাংলাদেশ বিনির্মাণের, যেখানে বাংলাদেশে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ, পাহাড় কিংবা সমতলের এক হয়ে রাজনীতি করবে।’
ধর্মীয় বিভাজনকে পুঁজি করে বিদেশিরা তাদের আগ্রাসনের রাজনীতি তৈরি করে এমন মন্তব্য করে আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা সকল সম্প্রদায়ের যে অনুভূতি, সেটাকে আমরা ধারণ করতে চাই। বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে আমরা আবদার রাখতে চাই, তরুণেরা যে বার্তা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে, সে বার্তায় আপনারা সায় দেবেন।’
তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, ‘এই মানুষেরা, আমরা যাদের সংখ্যালঘু বলি, তারা সংখ্যালঘুর মাঝেও সংখ্যালঘু। তারা আমাদের জন্য ইফতার আয়োজন করেছে। এ এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির। আমরা তাই ভালোবেসে আনন্দচিত্তে সে আহার গ্রহণের জন্য বসে আছি। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর মুসলিম ভাই হিন্দু ভাইয়ের জন্য পাহারা দিতে গিয়েছিল। আজকে একজন দলিত ভাই মুসলমানের মুখে আহার নিয়ে এসেছে। তাই আমাদের লক্ষ রাখা উচিত যেন ধর্ম ও জাতের নামে কাউকে যেন ছোট করা না হয়।’
ইফতার আয়োজন নিয়ে দলিত, হরিজন ও তফসিলি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস বলেন, ৫৩ বছর পর এই প্রথম রাজনীতিতে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁরা ঐতিহ্যগত, কাঠামোগত, আইনত বৈষম্যের শিকার। সামনের দিনে এই বৈষম্যগুলো দূর করার সময় এসেছে।
ভীমপল্লী ডেভিড রাজু বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল মানুষ এক। তাই আমরা আপনাদের সঙ্গে এক হতে যোগদান করেছি। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আখত র হ স ন র র জন ত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা