Samakal:
2025-05-01@12:02:31 GMT

ইউরোপের সেরা ৬ বৃত্তি

Published: 23rd, March 2025 GMT

ইউরোপের সেরা ৬ বৃত্তি

বিদেশে পড়াশোনা যাদের লক্ষ্য, তাদের পছন্দের শীর্ষে ইউরোপের দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়। ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের স্কলারশিপ মেলে। ফলে ইউরোপের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। 

আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
ফ্রান্স ইতোমধ্যে বিনা টিউশনে শিক্ষার জন্য পরিচিতি পেয়েছে। এ ছাড়া ফ্রেঞ্চ সংস্থা ক্যাম্পাস ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে সহায়তা করে। ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি করার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে ইউরোপ এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক ফরাসি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এটি তৈরি করা হয়। 
আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রাম মাসিক ভাতা, রিটার্ন ট্রিপ, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য বীমার খরচ কাভার করে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নশীল দেশ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে উন্নয়নশীল ও শিল্পোন্নত থেকে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। 
বিস্তারিত জানতে 
https://www.

campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence

সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ

২০১২ সাল পর্যন্ত বিনা টিউশন ফিতে সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ ছিল। এর পর থেকে সেখানে টিউশন ফি পরিশোধ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে সুইডিশ ইনস্টিটিউট থেকে স্কলারশিপ পেলে কোনো ফান্ড ছাড়াই  পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। সুইডেনে স্নাতকোত্তর করতে আগ্রহী হলে এই স্কলারশিপের জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে। সুইডিশ ইনস্টিটিউট থেকে প্রদত্ত স্কলারশিপ টিউশন ফি ছাড়াও জীবনযাত্রার ব্যয়, বীমা এবং ভ্রমণ খরচ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কিছু দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।  
বিস্তারিত জানতে  https://si.se/en/apply/scholarships/ 

ব্রিটিশ শেভেনিং স্কলারশিপ
ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) এবং এর অংশীদার সংস্থার অর্থায়নে ব্রিটিশ শেভেনিং স্কলারশিপ দেওয়া হয়। শেভেনিং অ্যাওয়ার্ড সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে– শেভেনিং স্কলারশিপ এবং শেভেনিং ফেলোশিপ। ব্রিটিশ দূতাবাস এবং হাইকমিশন কর্তৃক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্কলারশিপ গ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হয়। এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ টিউশন ফি, নির্দিষ্ট হারে আবাসিক ভাতা, যুক্তরাজ্যে একটি ইকোনমি ক্লাসের রিটার্ন বিমানের ভাড়া এবং ওয়ার্কশপের জন্য অন্যান্য ভ্রমণ খরচ কভার করে। 
বিস্তারিত জানতে 
https://www.chevening.org/

ড্যাড স্কলারশিপ
জার্মানিতে ইংরেজি ভাষার প্রোগ্রামে ৪০০ থেকে ৭০০ ইউরোতে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা টিউশন ফিতেও পড়া যায়। জার্মানির সরকারের অনুমোদনে দেশের সবচেয়ে বড় সংস্থা ড্যাড এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকার কিছু অংশ এবং পূর্ব ইউরোপের তরুণ এবং পেশাদার শিক্ষার্থীদের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য প্রতি বছর স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। 
বিস্তারিত জানতে  https://www2.daad.de/deutschland/ stipendium/ datenbank/en/21148-scholarship-database/
গেটস কেমব্রিজ স্কলারশিপ
যুক্তরাজ্যের বাইরের দেশের সেরা শিক্ষার্থীদের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য দেওয়া হয়। স্কলারশিপটি টিউশন ফি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পোজিশন ফি, বিমান ভাড়া এবং ভিসা খরচ কাভার করে। নন-ইউরোপিয়ান নাগরিকদের জন্য এই স্কলারশিপে মোট ৯০টি আসন রাখা হয়।
বিস্তারিত জানতে : http://www.gatescambridge.org/

রোডস স্কলারশিপ
১৯০২ সালে সেসিল রোডস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রোডস হলো বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সম্ভবত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক বৃত্তি প্রোগ্রাম। এটির মাধ্যমে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পান। রোডস স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় খরচ, ব্যক্তিগত উপবৃত্তি, স্বাস্থ্য বীমা এবং বিমান ভাড়া কাভার করে।
বিস্তারিত জানতে : https://www.rhodeshouse. ox.ac.uk/ scholarships/the-rhodes-scholarship/ v
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স ত র ত জ নত প র জন য ট উশন ফ ইউর প র ভ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঘাড়ব্যথার কারণগুলো কী কী, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা জেনে রাখুন

অনেক কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

১. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস

২. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস

৩. সারভাইক্যাল রিবস

৪. সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস বা স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া

৫. সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস বা হারনিয়েশন যেখানে হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে

৬. মাংসপেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি

৭. অস্বাভাবিক পজিশনে নিদ্রা

৮. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগ

৯. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়

১০. অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ

১১. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া

১২. রিউমাটয়েড-আর্থ্রাইটিস ও সেরো নেগেটিভ আর্থ্রাইটিস

১৩. সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস

১৪. ফাইব্রোমায়ালজিয়া

১৫. সামনে ঝুঁকে বা পাশে কাত হয়ে ভারী কিছু তুলতে চেষ্টা করা

১৬. হাড়ের ইনফেকশন

১৭. ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)

১৮. পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু বা উঁচু করে রাখলে ইত্যাদি।

উপসর্গ

ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়াতে পারে।

কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব।

বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে।

সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে আছে মনে হয়।

ঘাড়ের মুভমেন্ট করলে, ঘাড় নিচু করে ভারী কিছু তোলার পর তীব্র ব্যথা।

হাঁচি, কাশি দিলে বা সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বেড়ে যায়।

ব্যথা মাথার পেছন থেকে শুরু হয়ে মাথার সামনে আসতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

ঘাড়ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা হতে পারে—রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, ঘাড়ের এক্স-রে, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।

চিকিৎসা

চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।

কনজারভেটিভ চিকিৎসা: ১. ব্যথা বা প্রদাহনাশক ওষুধ ২.ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যেমন ম্যানুয়াল বা ম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট যেমন ইন্টারফ্যারেনশিয়াল থেরাপি, অতি লোহিত রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ডায়াথারমি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ইন্টারমিটেন্ট ট্র্যাকশন ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।

সার্জিক্যাল চিকিৎসা: মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা এবং অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ঘাড়ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।

২. মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।

৩. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।

৪. শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।

৫. শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।

৬. তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) বন্ধ করা।

৭. সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।

৯. কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।

১০. কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।

১১. গরম প্যাড, গরম পানির বোতল দিয়ে গরম সেঁক দেবেন।

১২. ঘাড়ের পেশি নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।

এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনকাঁধের ব্যথা বা কাঁধ জমে যাওয়ার কারণ ও করণীয়১৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ