সরকারি মেডিকেল কলেজে ২য় দফায় মাইগ্রেশন এবং অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ
Published: 24th, March 2025 GMT
এমবিবিএস ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কলেজ পরিবর্তনে অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় দফায় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। অপেক্ষমাণ তালিকা হতে স্বয়ংক্রিয় মাইগ্রেশন শেষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর শূন্য আসনে ৩২ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। মেধা, পছন্দক্রম ও আসন শূন্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ২৩ মার্চ ২০২৫এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাইগ্রেশনে সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তিকৃত কলেজের অধ্যক্ষের দপ্তরে যোগাযোগ করে ২৫ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া অর্থাৎ বর্তমান ভর্তিকৃত কলেজ থেকে বদলি/মাইগ্রেশনকৃত কলেজে ভর্তির সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। এ সময়ের মধ্যে কেউ ভর্তি হতে ব্যর্থ হলে উভয় কলেজ হতে তাঁর ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের নির্বাচিত মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দপ্তরে ২৫ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে যোগাযোগ করে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি ও মেডিকেল বোর্ড যথাক্রমে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্র যাচাই করবেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন। ভর্তির ক্ষেত্রে অত্র অধিদপ্তরের প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অন্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুনপেছাল গণিত পরীক্ষা, এসএসসি-২০২৫-এর নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ মার্চ ২০২৫অপেক্ষমাণ থেকে প্রাথমিক নির্বাচিতদের যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন—• ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র
• এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড
• এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র
• এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার পাসের মূল সনদপত্র ও প্রশংসাপত্র
• স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র
• চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি
• পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে চিফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র। অন্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্রপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র।
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিলে ১৫০০০ এবং পিএইচডিতে ২০০০০, আবেদনের সময় আরও বৃদ্ধি২৩ মার্চ ২০২৫মাইগ্রেশন ও অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হতে জানা যাবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের টেলিটকের 01550155555 নম্বর হতে SMS–এর মাধ্যমে এ–সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে।
আরও পড়ুনআরব আমিরাতে বৃত্তি, ইংরেজি দক্ষতায় বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ ১০ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ল সনদপত র পর ক ষ র ভর ত র করব ন সমম ন
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়ে অনুরোধ পেয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে বছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে শেষ ৬ মাসে অনুরোধের সংখ্যা কমেছে। একই বছর গুগলের কাছে সরকার ৫ হাজার ৮২৭টি কন্টেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ) ও গুগলের (ইউটিউব) স্বচ্ছতা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মেটা ও গুগল বছরে দু’বার স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সম্প্রতি প্রকাশিত সর্বশেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া ও কন্টেন্ট সরানোর অনুরোধ বেশি ছিল। পরের ছয় মাসে বিশেষ করে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব অনুরোধের পরিমাণ কমে আসে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে এসব অনুরোধ জানিয়ে থাকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
মেটা বলছে, ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০১টি অনুরোধের মাধ্যমে ২ হাজার ২৮৫টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল সরকার। এ সময় ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দেয় মেটা। প্রথম ছয় মাসে মেটা ২ হাজার ৯৪০টির বেশি কন্টেন্টে প্রবেশ সীমিত করে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৬০০টির বেশি ফেসবুক মন্তব্য, পোস্ট ৩১৭টি, পেজ ও গ্রুপ ১টি এবং প্রোফাইল ৫টি।
সে বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৯২৬টি অনুরোধের মাধ্যমে সরকার মেটার কাছে ১ হাজার ৪৮৬টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে মেটা তথ্য দিয়েছে। শেষ ছয় মাসে মেটা বাংলাদেশে ১ হাজার ২৮০টির মতো কন্টেন্টে প্রবেশ সীমিত করে দেয়। এর মধ্যে ফেসবুকে মন্তব্য (কমেন্ট) ১ হাজার ১৪০টি, ১২৩টি পোস্ট, ৮টি প্রোফাইল।
সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীন বিভিন্ন অপরাধের জন্য স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি যেসব রিপোর্ট করেছে, মেটা সেসব কন্টেন্টে প্রবেশ সীমিত করা হয়। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত পণ্য, ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আক্রমণ, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়া ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার গুগলের কাছে এক বছরে ৫ হাজার ৮২৭টি কন্টেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩৩৭টি অনুরোধে ৪ হাজার ৪৭০টি কন্টেন্ট সরাতে বলে সরকার। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি অনুরোধ জানায় সরকার। এসব অনুরোধের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৫৭টি কন্টেন্ট সরাতে বলা হয়। এসব অনুরোধের ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে গুগল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং ৩৭ শতাংশ ক্ষেত্রে যথেষ্ট তথ্য ছিল না। বাকিগুলো সরানো হয়।
সরকারের অনুরোধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল মানহানি, নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সেবা এবং সরকারের সমালোচনার বিষয়বস্তু। ইউটিউবের বিষয়বস্তু সরানোর অনুরোধ ছিল বেশি।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার গুগলকে ২৮টি অনুরোধ জানায়। এর মধ্য ৩০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গুগল ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে।