ভারতীয় সংসদ ভবনের অলিন্দে জোর ফিসফিসানি, সংসদ সদস্যদের প্রাতরাশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতি কি আর কোনো সময়ের সন্ধান পেলেন না! রমজান মাসকেই বেছে নিতে হলো?

প্রশ্ন আছে, উত্তর নেই। প্রশ্নটিও মোটেই প্রকাশ্যে উচ্চারিত নয়। রাষ্ট্রপতিকে (নারী এবং আদিবাসী) সরাসরি প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানোর মতো অশোভন ও অশালীন হতে কেউ চান না। তাই নিভৃত আলোচনা। অনুচ্চে। রমজান মাসে সংসদ সদস্যদের প্রাতরাশের আমন্ত্রণ দ্রৌপদী মুর্মু না জানালেই পারতেন।

পারতেন, কেননা বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে রমজান মাস শুরুর ঢের আগে।

এটা ঠিক, বছরের পর বছর ধরে কমতে কমতে প্রায় তলানিতে এসে ঠেকলেও লোকসভা ও রাজ্যসভার সম্মিলিত মুসলমান জনপ্রতিনিধির সংখ্যা এখনো ৪২। লোকসভায় শাসকদল বিজেপিতে যদিও একজনও মুসলমান নেই। ২৪ জন এমপির মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’ জোটেরই ২১ জন। ৫৪৩ জনের মধ্যে ২৪, শতাংশের হিসাবে মাত্র ৪ দশমিক ৪। অথচ দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মুসলমান! রাজ্যসভায় ২৫০ জনের মধ্যে মুসলমান মাত্র ১৮ জন। দুই কক্ষের ছবি যেন সেই ‘একে একে নিবিছে দেউটি’র মতোই টিমটিমে। ম্লান।

সে যা–ই হোক, তবু তো তাঁরা আছেন! আমন্ত্রিত তো তাঁরাও! আক্ষেপ তাঁদের হতেই পারে। ভাবতেই পারেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছেও তাঁরা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ পেলেন না!

ফিসফিসানির দ্বিতীয় অংশটা কল্পনাবিলাসী। স্বপ্নালু। আহা, বেশ হতো, রাষ্ট্রপতি যদি অদূর অতীতে ফিরে গিয়ে রমজান মাসের সন্ধ্যায় ইফতারের আয়োজন করতেন! প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস’ স্লোগান তাহলে প্রকৃতই অর্থবহ হতো।

কিন্তু সে গুড়ে বালি পড়েছে আট বছর আগে। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে প্রণব মুখোপাধ্যায় চলে যাওয়ার পর ইফতারের আয়োজন পুরোপুরি বন্ধ। রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি হয়ে জানিয়ে দেন, রাইসিনা হিলসে কোনো ধরনের ধর্মানুষ্ঠানের আয়োজনের পক্ষপাতী তিনি নন।

নরেন্দ্র মোদি দেশের ক্ষমতায় আসার পরও তিন বছর রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাইসিনা পাহাড়ের প্রশস্ত প্রাসাদে ফি বছর ইফতারের আয়োজনও তিনি করেছেন। মোদি যদিও একবারও আসেননি। তাঁর রাজনীতির ব্র্যান্ড অথবা বিশ্বাসের সঙ্গে আরও অনেক কিছুর মতো ইফতারও বেমানান।

বেমানান বলেই ২০১৪ সাল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে একবারও ইফতারের আয়োজন হয়নি।

নরেন্দ্র মোদি অনেক কিছুতেই অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি একবারও কোনো সংবাদ সম্মেলন করেননি। সংসদে কারও কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। বিদেশ সফরে সফরসঙ্গী হিসেবে সাংবাদিকদের নেননি। অপছন্দের কাউকে সাক্ষাৎকার দেননি। ঈদের নামাজে অংশ নেননি। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দরুন বহু ধরনের টুপি পরেছেন, কিন্তু একবারের জন্যও মুসলমানি ‘স্কাল ক্যাপ’ মাথায় তোলেননি। একবার একদল অনুগত মুসলমান সেই চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের ব্যর্থ হতে হয়েছিল।

ভারতে রাজনৈতিক স্তরে ইফতারের রীতি চালু হয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই। প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু জাতীয় কংগ্রেসের অফিসে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভারতের বৈচিত্র্যই তাঁর শক্তি। ঐক্যের প্রধান উপাদান। সেই বৈচিত্র্য ভাষায়। পরিধানে। খাদ্যাভ্যাসে। আচরণে। ধর্ম বিশ্বাসে। নেহরু ইফতারের আয়োজন করেছিলেন মুসলমান মন জিততে নয়, পরধর্ম সহিষ্ণুতা ও দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে।

নেহরু বিলক্ষণ জানতেন, ভারতের ৮০ শতাংশ জনতা হিন্দু। কিন্তু কোনো দিন ভুলেও তিনি ভারতকে ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ বলে বর্ণনা করেননি।

কংগ্রেসের এই চরিত্র বহুকাল অমলিন ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ধর্মভিত্তিক উত্তেজনার ফুলকি থেকে কখনো–সখনো দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। নেতাদের হস্তক্ষেপ ও আন্তরিক চেষ্টায় সেই আগুন নিভেও গেছে। ১৯৭৪ সালে উত্তর প্রদেশে তেমনই এক উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছিল ইফতারের সাহায্যে। সংঘর্ষের আবহ বদলে গিয়েছিল কোলাকুলিতে।

উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌতে শিয়া–সুন্নির উত্তেজনা তখন নৈমিত্তিক ব্যাপার। সে বছর ১৯৭৪ সালে, রমজান মাস শুরুর কিছুদিন আগে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন হেমবতী নন্দন বহুগুণা। শিয়া–সুন্নি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় ওই রমজান মাসেই। শান্তি রক্ষার চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী বহুগুণা বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন শিয়া নেতা আসরাফ হুসেনকে। কিন্তু আসরাফ প্রস্তাব নাকচ করলেন রমজান মাসের দোহাই দিয়ে। বললেন, রোজা চলাকালীন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আতিথেয়তা রক্ষা করতে অপারগ। শোনামাত্র বহুগুণা তাঁকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী নিবাসেই তিনি রোজা ভাঙুন। ইফতারের সব রকম আয়োজন ও বন্দোবস্ত থাকবে।

আসরাফ হুসেন না করতে পারেননি। ইফতারের পর সফল আলোচনা শান্তি স্থাপন করেছিল লক্ষ্ণৌতে।

সেই থেকে প্রতিবছর রমজান মাসে লক্ষ্ণৌর মুখ্যমন্ত্রী নিবাসে ইফতারের আয়োজন একরকম পাকাপাকি বন্দোবস্ত হয়ে যায়। প্রথাটা ভাঙে ২০১৭ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর।

স্বাধীনতার পর নেহরু ও সত্তরের দশকে বহুগুণা যা শুরু করেছিলেন, ক্রমেই তা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যে রাজ্যে, দলে দলে ইফতারের আয়োজন হয়ে ওঠে মুসলমান মন জয়ের রাজনৈতিক হাতিয়ার। কংগ্রেসের দেখাদেখি ওই রাজনীতিতে নেমে পড়ে অন্যরাও। যা ছিল ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার প্রতীক; ধীরে ধীরে তা হয়ে ওঠে মুসলিম মন জয়ের রাজনৈতিক ছক। বিজেপি ও সংঘ পরিবার এই রাজনীতিকেই ‘ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘ভোটব্যাংক পলিটিকস’ বলে জাহির করে এসেছে। যদিও কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে অটল বিহারি বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রীর ইফতার আয়োজনের ঐতিহ্য থেকে সরে আসেননি। বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন বিহারের বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ খান। বাজপেয়ী তাঁকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর হয়ে ফি বছর ইফতার আয়োজনের।

সংঘ অনুগামী ও দক্ষিণপন্থী হলেও বাজপেয়ী সবাইকে নিয়ে চলতে জানতেন। গণতন্ত্রের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করতেন। বিরোধী নেতা হিসেবে যে সম্মান তিনি চিরকাল পেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই সম্মান বিরোধীদেরও তিনি দিয়েছেন। নেহরুর আমলে ইফতারের যে রীতি চালু হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে সব প্রধানমন্ত্রী যে আয়োজন করে এসেছেন, বাজপেয়ীও তা থেকে বিচ্যুত হননি। কংগ্রেসের ‘ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষতা ও তোষণের রাজনীতি’র সমালোচনা করেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি আবাসে ইফতার আয়োজন করেছেন। সেই আয়োজনের নেপথ্যে দেশের স্বার্থও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষায় ইফতারের প্রতীকীর গুরুত্ব বাজপেয়ী অনুধাবন করেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনে (ওআইসি) পাকিস্তানের প্রভাব খর্বে সরকারি স্তরে ইফতার আয়োজন সহায়ক হতে পারে। মুসলিম দেশকে পাশে পেতে সরকারকেও মুসলিমবান্ধব হওয়া প্রয়োজন।

বাজপেয়ীর অন্য প্রয়োজনও ছিল। তিনি ছিলেন সংখ্যালঘু একান্নবর্তী পরিবারের বড় কর্তা। সরকার চালাতে শরিকি সমর্থনের প্রয়োজনের কথাটা তিনি কখনো ভোলেননি।

মোদি সেদিক থেকে মুক্ত পুরুষ। ২০১৪ থেকে ২০১৯ ও ২০১৯ থেকে ২০২৪, কারও সাহায্য ছাড়াই তিনি রাজা। এখনো এই তৃতীয় দফাতেও তিনিই এক ও অদ্বিতীয়। ধর্মীয় মেরুকরণের তীব্রতার দরুন নির্বাচনকে তিনি অতি সহজে ৮০ বনাম ২০–এর লড়াইয়ে পরিণত করতে পেরেছেন। বিরোধীরাও ছাড়া ছাড়া। ইফতারের রাজনীতির কোনো প্রয়োজনই তিনি উপলব্ধি করেন না। একটানা ১১ বছর প্রধানমন্ত্রীর নিবাস ও ৮ বছর রাষ্ট্রপতি ভবন তাই ইফতারহীন।

ওয়াক্‌ফ বিল পাস হয়ে গেলে মুসলিম ধর্মাচরণেও সংখ্যাগুরুর আধিপত্য বিস্তার হবে। একদিন না একদিন সারা দেশে চালু হয়ে যাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও। আজ হোক কাল হোক লোকসভার আসনবিন্যাস বদলে দেবে উত্তর–দক্ষিণের রাজনৈতিক ভারসাম্য। ৮০ বনাম ২০–এর লড়াই হয়ে যাবে আরও একপেশে।

কে জানে, রমজান মাসে রাষ্ট্রপতি ভবনে সংসদ সদস্যদের প্রাতরাশের আমন্ত্রণ জানানো শাসকদলের আদর্শ ও রাজনীতির পল্লবিত হওয়ার প্রমাণ কি না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র র ষ ট রপত রমজ ন ম স র জন ত ক কর ছ ল ন র র জন ত র ইফত র ম সলম ন আমন ত র ন কর ছ হয় ছ ল বছর র সরক র সদস য একব র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ