বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টাকা ধার করার সুযোগ রয়েছে। তবে রেপোতে টাকা ধার করার মেয়াদ সীমিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী এপ্রিল মাসের ১০ তারিখের পর থেকে ২৮ দিন মেয়াদি রেপো নিলাম থাকছে না। বর্তমানে ৩ মেয়াদে রেপো নিলাম হচ্ছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। তা দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারের কার্যক্রম আরো গতিশীল করা এবং তারল্য ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার লক্ষ্যে আগে জারি করা সার্কুলারের কিছুটা সংশোধন করা হলো। সংশোধন অনুযায়ী, বর্তমানে প্রচলিত ৭ দিন, ১৪ দিন এবং ২৮ দিন মেয়াদি রেপো নিলামের পরিবর্তে আগামী ১০ এপ্রিলের পর থেকে সপ্তাহে এক দিন মঙ্গলবার ৭ দিন ও ১৪ দিন মেয়াদি রেপো নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তাহের মঙ্গলবার ছুটি থাকলে পরবর্তী কার্যদিবসে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

রেপো হচ্ছে রিপারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট বা পুনঃক্রয় চুক্তি। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো স্বল্প মেয়াদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ ধার নেয়। অর্থের জরুরি চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলো সাধারণত এই সুবিধা নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়। তফসিলি ব্যাংকের জন্য আগে দৈনিক রেপো নিলামের সুবিধা চালু ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচির শর্ত হিসেবে এই দৈনিক সুবিধা বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছর থেকে প্রতিদিন নিলামের সুবিধা বন্ধ করা হয়। বর্তমানে সপ্তাহে একদিন মঙ্গলবার রেপো নিলাম হয়। 

ঢাকা/এনএফ/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মোসাদের চরদের দ্রুত সময়ে বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা ইরানের

ইসরায়েলের সহযোগী হিসেবে যারা কাজ করছে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলামহোসেই মোহসেনি এজেই এ ঘোষণা দেন।

দুই দেশের তীব্র সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েলের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরার।

এজেই বলেছেন, জায়োনিস্টদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কেউ গ্রেপ্তার হলে খুব দ্রুতই তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক এজেন্টের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।


মিজান অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের শত্রুদের কাছে গোপন এবং সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহের অপরাধে ইসমাইল ফকির নামের ওই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে দেশটি। রোববার স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আলবর্জ প্রদেশ এবং তেহরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে মোসাদের চর সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ