ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে। এ সময়ে শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ওই মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের স্টারলিং ডিজাইনস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে তিন দিনের। সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ছুটির বিষয়টি শ্রমিকরা জানতে পেরে বিক্ষোভ শুরু করে। একপযায়ে শ্রমিকরা বেলা দেড়টার দিকে কারখানার সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ সময়ে শ্রমিকরা আরো কিছু দাবি উত্থাপন করে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ থাকায় উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে শত শত যানবাহনের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার এ কে এম  জহিরুল ইসলাম জানান, ছুটি বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে এবং মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

গাজীপুরের সোয়েটার কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ, ভাঙচুর 

গাজীপুরে দুই কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ