রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিয়মিত স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি কোর্সে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরাও এখন ভর্তির সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭ তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এই তথ্য সমকালকে নিশ্চিত করেছেন।

সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের অধীনস্থ বিভাগসমূহে মাস্টার্স প্রোগ্রামে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ হতে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) পাশ করা শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স প্রোগ্রামে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, জাতীয় এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পাবেন না। 

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর আবেদনের জন্য স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.

০০ থাকতে হবে। এছাড়া স্নাতক পাশের পর তিন শিক্ষাবর্ষের মধ্যে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে।

অনুষদের অধিকর্তার তত্ত্বাবধানে বিভাগগুলো আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পৃথকভাবে নিজ নিজ বিভাগে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবেন। তবে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি অনেক শিক্ষার্থীই মাস্টার্স না করেই চলে যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন বিভাগে মাস্টার্সে অনেক আসন ফাঁকা থাকছে। বিশেষ করে কৃষি অনুষদের বিভাগগুলোতে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে। তবে এটি অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে করাতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ আসন ফ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ