রাবিতে নিয়মিত মাস্টার্সের সুযোগ পাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
Published: 24th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিয়মিত স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি কোর্সে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরাও এখন ভর্তির সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭ তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এই তথ্য সমকালকে নিশ্চিত করেছেন।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের অধীনস্থ বিভাগসমূহে মাস্টার্স প্রোগ্রামে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ হতে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) পাশ করা শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স প্রোগ্রামে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, জাতীয় এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পাবেন না।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর আবেদনের জন্য স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.                
      
				
অনুষদের অধিকর্তার তত্ত্বাবধানে বিভাগগুলো আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পৃথকভাবে নিজ নিজ বিভাগে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবেন। তবে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি অনেক শিক্ষার্থীই মাস্টার্স না করেই চলে যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন বিভাগে মাস্টার্সে অনেক আসন ফাঁকা থাকছে। বিশেষ করে কৃষি অনুষদের বিভাগগুলোতে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে। তবে এটি অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে করাতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’