অনেকে বলে রাজনীতি আমি বুঝি কম, কম বুঝেই আমি খুশি: নায়াব ইউসুফ
Published: 24th, March 2025 GMT
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেছেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে যে রাজনীতি দেখেছি তা হলো মানুষের জন্য কল্যাণের রাজনীতি। এর চেয়ে বেশি রাজনীতি আমি দেখি নাই, এর থেকে বেশি রাজনীতি বুঝি নাই।’
আজ সোমবার ফরিদপুরে নায়াব ইউসুফের মা শায়লা কামালের মৃত্যুতে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। কামাল ইউসুফ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ফরিদপুর সদরের কমলাপুর ময়েজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি এ বি এম সাত্তার।
‘অনেকে বলে রাজনীতি আমি বুঝি কম, কম বুঝেই আমি খুশি’—উল্লেখ করে নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আজকে আমি যা, রাজনীতিতে যতটুকু আমি করেছি, পেরেছি তা সম্ভব হয়েছে আমার পরিবারের জন্য। আমার যে শিক্ষা, তা আমার পরিবারেরই শিক্ষা। আমি যে রাজনীতির ধারাবাহিকতায় এসেছি, সে রাজনীতি হলো নীতি–আদর্শের রাজনীতি। কারণ আমার পরিবারে যে রাজনীতি করে এসেছে, যে ভালোবাসা অর্জন করেছে তারই প্রতিফল হলো আমার এ রাজনীতি।
বিএনপির নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি নতুন ফরিদপুর গড়ে তুলি। যে ফরিদপুরে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নীতি–আদর্শ মেনে বড় মনের পরিচয় দিয়ে আমরা রাজনীতি করতে পারি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল হোসেন ও জুলফিকার হোসেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কাইয়ুম জঙ্গী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সহধর্মিণী শায়লা কামাল (৭৬) ১২ মার্চ ভোরে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন য় ব ইউস ফ ব এনপ র র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ
নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় আগে থেকে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ের ফটকের কাছাকাছি চলে গেলে পুলিশ তাদের থামার অনুরোধ করে। আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ না মানলে পুলিশ প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে অবস্থান নেন।
শাহবাগ থানার পেট্রোল অফিসার জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ কর হয়। এছাড়াও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া এক নিবন্ধনধারী জানান, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাই।
তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।
৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এখনও আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।