কোলোরেক্টাল ক্যানসার: সময়মতো স্ক্রিনিংয়ে বাঁচতে পারে জীবন
Published: 25th, March 2025 GMT
যে কয়েকটি ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রতিরোধ সম্ভব, সেগুলোর মধ্যে কোলোরেক্টাল ক্যানসার অন্যতম। তবে সময়মতো স্ক্রিনিংয়ে বাঁচতে পারে জীবন।
ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এসকেএফ অনকোলজির আয়োজনে ‘বিশ্বমানের ক্যানসার–চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল অনকোলজিস্ট ডা. সৈয়দ মো.
আলোচনার শুরুতেই উপস্থাপক নাসিহা তাহসিন জানতে চান, বাংলাদেশে কোলোরেক্টাল ক্যানসারের পরিসংখ্যান সম্পর্কে। উত্তরে ডা. সৈয়দ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গ্লোবোক্যানের তথ্যমতে, বাংলাদেশে কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭২৩। নতুন রোগীদের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ এই রোগে ভুগছেন।’
কোলোরেক্টাল ক্যানসারের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে ডা. সৈয়দ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যানসারের ঝুঁকি বা রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়—পরিবর্তনযোগ্য ও অপরিবর্তনযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টর। অপরিবর্তনযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে রয়েছে বয়স, জেনেটিক মিউটেশন, পরিবারের কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ইতিহাস আছে কি না ইত্যাদি। আর পরিবর্তনযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে রয়েছে আমাদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা, দেহের ওজন ইত্যাদি। বিশেষভাবে যাঁদের ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে কিংবা তামাক গ্রহণ করেন, তাঁদের কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেশি। টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খেলে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু অপরিবর্তনযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার আসলে উপায় নেই। যদি কারও পরিবারে এমন ইতিহাস থাকে, তবে অন্য সদস্যদের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।’
কোলোরেক্টাল ক্যানসারের স্ক্রিনিং সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. সৈয়দ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, যে কয়েকটি ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রতিরোধ সম্ভব, তাদের মধ্যে কোলোরেক্টাল ক্যানসার অন্যতম। ৪৫ বছর বয়স থেকেই এর স্ক্রিনিং শুরু করে দেওয়া উচিত। প্রতিবছর অন্তর স্ক্রিনিং করতে হবে।
বাংলাদেশে কোলোরেক্টাল ক্যানসারের বর্তমান পরিস্থিতি, স্ক্রিনিং, সচেতনতা, প্রতিরোধব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে পরামর্শ দেন ডা. সৈয়দ মো. আরিফুল ইসলামউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ফ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী