র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক মো. খাদিদুল হক হাওলাদার বলেছেন, “রাজধানীর বিপণী-বিতান, মার্কেট, শপিংমল, কমপ্লেক্সগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী মার্কেট, বিপণী বিতানগুলোতে পোশাক পরিহিত র‌্যাব সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ঈদে রাজধানীর নিউমার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, “নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমাসহ ঐতিহ্যবাহী মার্কেটগুলোতে র‍্যাবের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।আপনাদের মনে রাখা দরকার, মেগাসিটি রাজধানীতে দুই কোটি লোকের  বসবাস। এসব স্থানে আমার এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা এই সময় এসে কেনাকাটা বা শপিং করেন। তারা যেন সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দমুখর পরিবেশে কেনাকাটা করতে পারেন-এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অপরাধীরা নিরাপত্তা ভেঙে অপরাধ যেন না করতে পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র‌্যাব। ২৪ ঘণ্টা মোবাইল টিমের মাধ্যমেও এসব স্থানের চারদিকে টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ভগ্নিপতিকে হত্যায় সম্বন্ধি গ্রেপ্তার

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

এবার মার্কেটগুলোতে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “আমি নিজেও বিভিন্ন দোকানে গিয়েছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি।চাদাবাজির শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ কেউ করেননি। আমার আশেপাশে মার্কেট সমিতির নেতারা আছেন। তারাও অভিযোগ করেননি। চাঁদাবাজ হুমকি দিয়েছে আমাদের কাছে এরকম এখনও বলেনি।”

এ সময় র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মার্কেট, বিপণী-বিতান সমিতির নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এমআর/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ