শপিংমলগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: র্যাব
Published: 25th, March 2025 GMT
র্যাব-২ এর অধিনায়ক মো. খাদিদুল হক হাওলাদার বলেছেন, “রাজধানীর বিপণী-বিতান, মার্কেট, শপিংমল, কমপ্লেক্সগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী মার্কেট, বিপণী বিতানগুলোতে পোশাক পরিহিত র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ঈদে রাজধানীর নিউমার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, “নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমাসহ ঐতিহ্যবাহী মার্কেটগুলোতে র্যাবের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।আপনাদের মনে রাখা দরকার, মেগাসিটি রাজধানীতে দুই কোটি লোকের বসবাস। এসব স্থানে আমার এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা এই সময় এসে কেনাকাটা বা শপিং করেন। তারা যেন সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দমুখর পরিবেশে কেনাকাটা করতে পারেন-এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অপরাধীরা নিরাপত্তা ভেঙে অপরাধ যেন না করতে পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র্যাব। ২৪ ঘণ্টা মোবাইল টিমের মাধ্যমেও এসব স্থানের চারদিকে টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ভগ্নিপতিকে হত্যায় সম্বন্ধি গ্রেপ্তার
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
এবার মার্কেটগুলোতে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “আমি নিজেও বিভিন্ন দোকানে গিয়েছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি।চাদাবাজির শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ কেউ করেননি। আমার আশেপাশে মার্কেট সমিতির নেতারা আছেন। তারাও অভিযোগ করেননি। চাঁদাবাজ হুমকি দিয়েছে আমাদের কাছে এরকম এখনও বলেনি।”
এ সময় র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মার্কেট, বিপণী-বিতান সমিতির নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এমআর/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’