Samakal:
2025-11-03@07:44:24 GMT

এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি

Published: 26th, March 2025 GMT

এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতি থামছেই না। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দি গ্রামে আহসান হাবিব, আব্দুল হেকিম ও মজিবুল্লাহর মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

ভুক্তভোগী আহসান হাবিব জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে তাঁর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১০-১২ জন মুখোশধারী ডাকাত একতলা ভবনের দরজার তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে। পরে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান আসবাব লুটে নেয়। এর পর ডাকাত দল তাঁর বাড়ির পাশে ব্যবসায়ী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়ার বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে একই কায়দায় নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান আসবাব লুটে নেয়।

সবশেষে ডাকাত দল মজিবুল্লাহ মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। তারা ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এক রাতে তিনি বাড়িতে এমন দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে বুধবার এক রাতে তিন বাড়িতে ও শুক্রবার রাতে এক বাড়িতে ডাকাতি হয়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ডাকাতরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পুলিশের টহল কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি চিহ্নিত ডাকাতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তারা।

ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ