Samakal:
2025-05-01@05:46:29 GMT

এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি

Published: 26th, March 2025 GMT

এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতি থামছেই না। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দি গ্রামে আহসান হাবিব, আব্দুল হেকিম ও মজিবুল্লাহর মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

ভুক্তভোগী আহসান হাবিব জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে তাঁর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১০-১২ জন মুখোশধারী ডাকাত একতলা ভবনের দরজার তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে। পরে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান আসবাব লুটে নেয়। এর পর ডাকাত দল তাঁর বাড়ির পাশে ব্যবসায়ী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়ার বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে একই কায়দায় নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান আসবাব লুটে নেয়।

সবশেষে ডাকাত দল মজিবুল্লাহ মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। তারা ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এক রাতে তিনি বাড়িতে এমন দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে বুধবার এক রাতে তিন বাড়িতে ও শুক্রবার রাতে এক বাড়িতে ডাকাতি হয়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ডাকাতরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পুলিশের টহল কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি চিহ্নিত ডাকাতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তারা।

ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ