নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতি থামছেই না। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দি গ্রামে আহসান হাবিব, আব্দুল হেকিম ও মজিবুল্লাহর মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী আহসান হাবিব জানান, সোমবার রাত দেড়টার দিকে তাঁর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১০-১২ জন মুখোশধারী ডাকাত একতলা ভবনের দরজার তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে। পরে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান আসবাব লুটে নেয়। এর পর ডাকাত দল তাঁর বাড়ির পাশে ব্যবসায়ী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়ার বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে একই কায়দায় নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান আসবাব লুটে নেয়।
সবশেষে ডাকাত দল মজিবুল্লাহ মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। তারা ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এক রাতে তিনি বাড়িতে এমন দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে বুধবার এক রাতে তিন বাড়িতে ও শুক্রবার রাতে এক বাড়িতে ডাকাতি হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ডাকাতরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পুলিশের টহল কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি চিহ্নিত ডাকাতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তারা।
ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীতে কর্মজীবী নারী হোস্টেল থেকে মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ‘কর্মজীবী নারী হোস্টেল’ থেকে রিয়া আক্তার শান্তা (৩০) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিউ মার্কেট থানার ওসি মো. হাফিজুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।”
আরো পড়ুন:
নেশা ও জুয়ায় টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে নারী
নিউ মার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসনে মোবারক জানান, হোস্টেল কর্তৃপক্ষের খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানে কক্ষের ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, নিজের পরিহিত ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ছিলেন।
পুলিশ জানায়, রিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার দোহার এলাকায় অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি করতেন। তিনি কর্মজীবী নারী হোস্টেলেই থাকতেন। তিনি বিবাহিত। তার বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার পলাশপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন খন্দকার।
ঢাকা/এমআর/এসবি