৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে এতো বড় ব্যবধানে হারল ব্রাজিল
Published: 26th, March 2025 GMT
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাস অনেক পুরনো। তাদের লড়াইও অনেক পুরনো। তাইতো এটা শৈল্পিক নাম পেয়েছে ‘সুপার ক্লাসিকো’ হিসেবে। যেখানে লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। তেমনই এক উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। প্রত্যাশা ছিল ডরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা আর্জেন্টিনার মাঠ থেকে একটি ভালো ফল নিয়ে আসবে। কিন্তু উল্টো লজ্জাজনক হারকে সঙ্গী করেছে তারা। ছুঁয়ে ফেলেছে ৬৬ বছরের পুরনো লজ্জাজনক হারের স্মৃতিকে।
১৯১৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা একে অপরের মুখোমুখি হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত গেল ১১১ বছরে দল দুটি ১১৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এই লম্বা সময়ে আর্জেন্টিনার কাছে হাতে গোনা কিছু ম্যাচে বড় ব্যবধানে হার মেনেছে ব্রাজিল।
১৯১৭ সালে কোপা আমেরিকার ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-২ ব্যবধানে হেরেছিল সেলেসওরা। এরপর ১৯২৫ সালে সেই কোপা আমেরিকাতেই ৪-১ ব্যবধানে হার মানে ব্রাজিল। ১৯৩৯ সালে অবশ্য হারের ব্যবধান বেড়ে হয়েছিল ৫-১। সেটা অবশ্য কোপা জুলিও রোকাতে। ১৯৪০ সালে কোপা জুলিও রোকাতেই ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬-১ ব্যবধানে আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। একই বছর আরও একবার ৫-১ ব্যবধানে হেরেছিল হলুদ রঙের জার্সিধারীরা। অবশ্য ১৯৪৫ সালে কোপা জুলিও রোকায় আর্জেন্টিনাকে ৬-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল ব্রাজিলও।
আরো পড়ুন:
বড় হারের পর ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক
ভিনিসিয়ুসের অন্তিম মুহূর্তের গোলে হাঁপ ছেড়ে বাঁচল ব্রাজিল
১৯৫৯ সালে কোপা আমেরিকার ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল ব্রাজিল। সেটাই ছিল ব্রাজিলের সবশেষ বড় ব্যবধানে হার আর্জেন্টিনার কাছে।
১৯৬০ কোপা জুলিও রোকায় প্রথমে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-২ ব্যবধানে হারে ব্রাজিল। এরপর ৪-১ ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনাকে। একই বছর কোপা ডেল আটলান্টিকোতে ৫-১ ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল সেলেসওরা।
২০১২ সালে এক প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরেছিল ব্রাজিল। তবে বহু বছর পর আজ আরও একবার আর্জেন্টিনা চারবার ব্রাজিলের জালে চারবার বল জড়ালো। তাতে ৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ ব্যবধানে হার মানলো রাফিনিয়া-মারকিনহোসরা।
তবে চারবার করে জালে বল জড়ানোর ঘটনা দুই দল এ পর্যন্ত মোট ১০ বার ঘটিয়েছে। তার মধ্যে আর্জেন্টিনা ৭ বার এবং ব্রাজিল ৩ বার।
সাল | ব্যবধান | টুর্নামেন্ট |
১৯১৭ | আর্জেন্টিনা ৪-২ ব্রাজিল | কোপা আমেরিকা |
১৯২৫ | আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্রাজিল | কোপা আমেরিকা |
১৯৫৯ | আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্রাজিল | কোপা আমেরিকা |
১৯৬০ | আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্রাজিল | কোপা আমেরিকা |
১৯৬০ | আর্জেন্টিনা ৪-২ ব্রাজিল | কোপা জুলিও রোকা |
১৯৬৮ | ব্রাজিল ৪-১ আর্জেন্টিনা | আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ |
১৯৯৯ | ব্রাজিল ৪-২ আর্জেন্টিনা | আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ |
২০০৫ | ব্রাজিল ৪-১ আর্জেন্টিনা | ফিফা কনফেডারেশন কাপ |
২০১২ | আর্জেন্টিনা ৪-৩ ব্রাজিল | আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ |
২০২৫ | আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্রাজিল | বিশ্বকাপ বাছাই |
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন র ক ছ র আর জ ন ট ন ৪ ১ ব যবধ ন আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।