ঈদের বাকি মাত্র কয়েক দিন। চলছে কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটায় অনেকের তালিকায় থাকে স্মার্টফোন। ঈদে স্মার্টফোনের বাজারে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের কয়েকটি ফোনের খোঁজ জেনে নেওয়া যাক।

টেকনো স্পার্ক গো ১

এই ফোনের দাম ১০ হাজার ৪৯৯ টাকা। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনে ৬.৬৭ ইঞ্চি পাঞ্চ হোল প্রযুক্তির পর্দা রয়েছে, যা ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সমর্থন করে। এর ফলে গেম খেলার পাশাপাশি ভালো মানের ভিডিও দেখা যায়। টি৬১৫ প্রসেসরযুক্ত ফোনটিতে ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল ও ডিটিএস লিসেন স্টেরিও ডুয়াল স্পিকারসহ সামনে–পেছনে ৮ ও ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।

সিম্ফনি ইনোভা ৩০

এই ফোনের দাম ১২ হাজার ৬৯৯ টাকা। অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোনটিতে ৬.

৫৬ ইঞ্চি এইচডিপ্লাস পর্দা রয়েছে। ৮ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ফোনটিতে ১.৮ গিগাহার্টজ অক্টাকোর প্রসেসরসহ ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি রয়েছে। সামনে–পেছনে ৮ ও ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাযুক্ত ফোনটিতে গ্র্যাভিটি সেন্সর, কম্পাস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও ফেস আনলকের সুবিধাও ব্যবহার করা যায়।

রিয়েলমি নোট ৬০

৬.৭৪ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি পর্দার ফোনটির দাম ১২ হাজার ৭৫৪ টাকা। ৪ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৬৪ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির সামনে–পেছনে ৫ ও ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটিতে আরও রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, প্রোক্সিমিটি সেন্সর ও কম্পাস।

আরও পড়ুন১০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন২৩ মার্চ ২০২৫অপ্পো এ৩এক্স

এই স্মার্টফোনের দাম ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ৪ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৬৪ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা রয়েছে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির সামনে–পেছনে ৫ ও ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।

রিয়েলমি সি৬১

এই ফোনের দাম ১৪ হাজার ৪৯৮ টাকা। ৬ গিগাবাইট র‍্যামের এই ফোনের ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর রিয়েলমি ইউআই ৫.০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ৬.৭৮ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি পর্দার ফোনটিতে ইউনিসক টাইগার টি৬১২ (১২ এনএম) প্রসেসর রয়েছে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই ক্যামেরা এবং সামনে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।

আরও পড়ুনপড়ে গেলে ভাঙে না, পর্দায় দাগও পড়ে না এই স্মার্টফোনে১৮ মার্চ ২০২৫অনার এক্স৬বি

৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটিতে ৩৫ ওয়াটের টার্বো চার্জ প্রযুক্তি থাকায় দ্রুত চার্জ করা যায়। ১২ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৫ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। ৬.৫৬ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির সামনে–পেছনে ৫ ও ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই আলট্রা–ক্লিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফোনটির দাম পড়বে ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।

ওয়ালটন নেক্সজি এন৯

এই ফোনের দাম ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে চলা এই ফোনে ২.০ গিগাহার্টজ গতির অক্টাকোর হেলিও জি৮৫ প্রসেসর ও মালি–জি৫২ এমপি২ জিপিইউ রয়েছে। ১২ গিগাবাইট র‍্যাম ও ১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির পর্দার আকার ৬.৮২ ইঞ্চি। সামনে–পেছনে ৮ ও ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাযুক্ত ফোনটিতে এআই সিন রিকগনিশন, টাইম ওয়াটারমার্ক ও গুগল লেন্সের সুবিধাও রয়েছে।

আরও পড়ুন২৫ বছর পর নতুন রূপে এল নকিয়া ৩২১০১২ মার্চ ২০২৫স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৩

এই ফোনের দাম ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬.৫ ইঞ্চি এইচডিপ্লাস টিএফটি পর্দার এই ফোনের পেছনে ৪৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। অক্টাকোর ১.৬ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসরযুক্ত ফোনটির সামনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৪ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির ধারণক্ষমতা ৬৪ গিগাবাইট।

শাওমি রেডমি নোট ১২

এই ফোনের দাম ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম ও ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা রয়েছে। ফোনটির পেছনে ৪৮, ৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সামনেও রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরসহ জাইরোস্কোপ ও কম্পাসও ব্যবহার করা যায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫ হ জ র ম ল অ য ম প য় র ব য ট র য ক ত ফ নট ম ল অ য ম প য় র ব য ট র য ক ত ফ নট র র য ক ত ফ নট ত হ জ র ৯৯৯ ট ক গ গ ব ইট র ৮ গ গ ব ইট র ফ নট র এই ফ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা