ঈদের বাজারে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন
Published: 26th, March 2025 GMT
ঈদের বাকি মাত্র কয়েক দিন। চলছে কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটায় অনেকের তালিকায় থাকে স্মার্টফোন। ঈদে স্মার্টফোনের বাজারে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের কয়েকটি ফোনের খোঁজ জেনে নেওয়া যাক।
টেকনো স্পার্ক গো ১এই ফোনের দাম ১০ হাজার ৪৯৯ টাকা। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনে ৬.৬৭ ইঞ্চি পাঞ্চ হোল প্রযুক্তির পর্দা রয়েছে, যা ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সমর্থন করে। এর ফলে গেম খেলার পাশাপাশি ভালো মানের ভিডিও দেখা যায়। টি৬১৫ প্রসেসরযুক্ত ফোনটিতে ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল ও ডিটিএস লিসেন স্টেরিও ডুয়াল স্পিকারসহ সামনে–পেছনে ৮ ও ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।
সিম্ফনি ইনোভা ৩০এই ফোনের দাম ১২ হাজার ৬৯৯ টাকা। অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোনটিতে ৬.
৬.৭৪ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি পর্দার ফোনটির দাম ১২ হাজার ৭৫৪ টাকা। ৪ গিগাবাইট র্যাম ও ৬৪ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির সামনে–পেছনে ৫ ও ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটিতে আরও রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, প্রোক্সিমিটি সেন্সর ও কম্পাস।
আরও পড়ুন১০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন২৩ মার্চ ২০২৫অপ্পো এ৩এক্সএই স্মার্টফোনের দাম ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ৪ গিগাবাইট র্যাম ও ৬৪ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা রয়েছে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির সামনে–পেছনে ৫ ও ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৬১এই ফোনের দাম ১৪ হাজার ৪৯৮ টাকা। ৬ গিগাবাইট র্যামের এই ফোনের ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর রিয়েলমি ইউআই ৫.০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ৬.৭৮ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি পর্দার ফোনটিতে ইউনিসক টাইগার টি৬১২ (১২ এনএম) প্রসেসর রয়েছে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই ক্যামেরা এবং সামনে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে।
আরও পড়ুনপড়ে গেলে ভাঙে না, পর্দায় দাগও পড়ে না এই স্মার্টফোনে১৮ মার্চ ২০২৫অনার এক্স৬বি৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটিতে ৩৫ ওয়াটের টার্বো চার্জ প্রযুক্তি থাকায় দ্রুত চার্জ করা যায়। ১২ গিগাবাইট র্যাম ও ৫ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। ৬.৫৬ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির সামনে–পেছনে ৫ ও ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই আলট্রা–ক্লিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফোনটির দাম পড়বে ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ওয়ালটন নেক্সজি এন৯এই ফোনের দাম ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে চলা এই ফোনে ২.০ গিগাহার্টজ গতির অক্টাকোর হেলিও জি৮৫ প্রসেসর ও মালি–জি৫২ এমপি২ জিপিইউ রয়েছে। ১২ গিগাবাইট র্যাম ও ১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির পর্দার আকার ৬.৮২ ইঞ্চি। সামনে–পেছনে ৮ ও ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাযুক্ত ফোনটিতে এআই সিন রিকগনিশন, টাইম ওয়াটারমার্ক ও গুগল লেন্সের সুবিধাও রয়েছে।
আরও পড়ুন২৫ বছর পর নতুন রূপে এল নকিয়া ৩২১০১২ মার্চ ২০২৫স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৩এই ফোনের দাম ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬.৫ ইঞ্চি এইচডিপ্লাস টিএফটি পর্দার এই ফোনের পেছনে ৪৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। অক্টাকোর ১.৬ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসরযুক্ত ফোনটির সামনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৪ গিগাবাইট র্যাম ও ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির ধারণক্ষমতা ৬৪ গিগাবাইট।
শাওমি রেডমি নোট ১২এই ফোনের দাম ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র্যাম ও ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা রয়েছে। ফোনটির পেছনে ৪৮, ৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সামনেও রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরসহ জাইরোস্কোপ ও কম্পাসও ব্যবহার করা যায়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৫ হ জ র ম ল অ য ম প য় র ব য ট র য ক ত ফ নট ম ল অ য ম প য় র ব য ট র য ক ত ফ নট র র য ক ত ফ নট ত হ জ র ৯৯৯ ট ক গ গ ব ইট র ৮ গ গ ব ইট র ফ নট র এই ফ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।