রাজধানীর ওয়ারীতে স্কুল থেকে ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ মা–ছেলের সন্ধান মিলেছে। পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে শিশু সন্তানকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন ওই নারী। সপ্তাহখানেক আগে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। স্বামীর ভাষ্য, ‘কালো জাদু’ করে ও ‘ভুল বুঝিয়ে’ তাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে যান সেই কথিত প্রেমিক।

ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ সমকালকে বলেন, প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে দেখা যায়, যে ফোন নম্বর থেকে নিখোঁজ গৃহবধূর মায়ের কাছে কল করা হয়, সেটির অবস্থান ডেমরার ডগাইর এলাকায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে। এটি কোনো অপহরণ ছিল না। পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়। তারা পারিবারিকভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে ওই নারী ও তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে আনেন।

এর আগে ১১ মার্চ ওয়ারী স্ট্রিটের তিন নম্বর গলির ইএলসি স্কুল থেকে সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন এক গৃহবধূ। স্কুলের সামনে থেকে হেঁটে অদূরে চৌরাস্তা পর্যন্ত যাওয়ার দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এরপর তারা কোন দিকে গেছেন জানা যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।

গৃহবধূর স্বামী পুরান ঢাকার নবাবপুরে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ব্যবসা করেন। তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীর পুরোনো একটা সম্পর্ক ছিল। সেই লোক তন্ত্র–মন্ত্র করে তাকে নিয়ে গিয়েছিল। পরে ভুল বুঝতে পেরে আমার স্ত্রী ফিরে এসেছে।’ 

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘নিখোঁজের দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁর শাশুড়িকে কল করে বলেন, আপনার মেয়ে ও নাতি ভালো আছে। সেই ফোন নম্বরটি বরিশালের হিজলার এক ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত। সেই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা। তবে কলটি করা হয়েছিল ডেমরার ডগাইর এলাকা থেকে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ