Risingbd:
2025-06-15@10:58:37 GMT

“ইনশাআল্লাহ জুনে ফিরে আসব”

Published: 27th, March 2025 GMT

“ইনশাআল্লাহ জুনে ফিরে আসব”

যুদ্ধ জয়ের পর জুলিয়াস সিজার রোমান সিনেটকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, ‘ভেনি, ভিদি, ভিসি’। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, আমি এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। হামজা চৌধুরী চাইলেই সিজারের এই বীরত্বসূচক শব্দগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার উদ্দেশ্যে ১৭ মার্চ বাংলাদেশে এলেন, সবকিছু দেখলেন এবং ফুটবল দিয়েই সমর্থকদের মন জয় করলেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ফিরেও গেলেন হামজা। যাওয়ার আগে বলে গেলেন জুনে দেখা হচ্ছে আবার।

নব্বইয়ের দশক থেকে সংগঠকদের হঠকারিতায় ফুটবল ধীরে-ধীরে দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্র থেকে সরে গিয়েছিল। হামজার আগমন উপলক্ষে পুনরায় বিপুল উন্মাদনা তৈরি হয় ফুটবলে। সিলেট এবং ঢাকায় তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ভক্তরা। সেই ভালবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গেলেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয় হামজার। ম্যাচে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেন এই ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার। গতকাল দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে দেশে ফিরেন তিনি। গত রাতেই ইংল্যান্ডের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল শেফিল্ড ফুটবলারের। তবে ফ্লাইটের সময়সূচী পরিবর্তনের কারণে ঢাকায় বাড়তি এক রাত থাকতে হয় তাকে। অবশেষের আজ সকালেই আবার ম্যানচেস্টারের ফ্লাইট ধরেন তিনি।

আরো পড়ুন:

‘মেসির সঙ্গে’ পরিচয় করিয়ে দিলেন জামাল, ছেত্রীর সঙ্গে তুলনায় দিলেন অন্যরকম উত্তর

কোচ বললেন ফাহামিদুল ‘রেডি না’, সুর মেলালেন জামালও

আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে হামজা বলে, “শুধু ধন্যবাদ বলতে চাই। এটা আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমি বলে বোঝাতে পারব না। অনেক ধন্যবাদ, ইনশাআল্লাহ জুনে ফিরে আসব। আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।”

হামজা জাতীয় দলের জার্সিতে খেললেও এখনও বাংলাদেশের মাটিতে খেলেননি। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেই সুযোগ আসছে। আগামী ১০ জুন ঘরের মাঠেই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। তখন হামজার খেলা সরাসরি দেখার সুযোগ মিলবে বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থকদের।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বাড়ি থেকে রাজু ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে ওই সীমান্তে বিএসএফের গুলির কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সদর থানা-পুলিশ। নিহত রাজু ইসলামের বাড়ি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ঝুলিপাড়া এলাকায়। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর তিন ছেলেমেয়ে আছে।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, রাজু গতকাল শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন। এরপর তিনি কখন বাইরে গেছেন, স্বজনদের কেউ জানেন না। রাত তিনটার দিকে তাঁকে কে বা কারা বাড়ির বাইরে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে স্বজনেরা ঘুম থেকে উঠে আহত অবস্থায় তাঁকে দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দেবীগঞ্জ উপজেলার কাছাকাছি গেলে তিনি মারা যান। পরে লাশ বাড়িতে আনা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, প্রথম দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাজু স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করে মারা গেছেন। পরে তিনি গিয়ে দেখেন, তাঁর দুটি পায়ের হাঁটু ও আশপাশে গুলির চিহ্ন। ভারত সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা গেছেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। কারণ, তাঁর পায়ে স্পষ্ট গুলির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকালে বিষয়টি জানাজানির পর বাড়িতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে ওই এলাকায় বিজিবির দুটি টহল দল দায়িত্বরত ছিল। তখন সীমান্তে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএসএফও গুলি করেনি বলে জানিয়েছে। এমনকি পরিবার থেকে প্রথম দিকে তাঁদের জানানো হয়, তিনি হৃদ্‌রোগে মারা গেছেন। তবে তিনি যে আহত হয়েছেন, সেটা সীমান্ত এলাকায় হয়েছেন নাকি বাংলাদেশের ভেতরে হয়েছেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন আছে, সেটি তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে গুলি কারা করেছে বা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ