রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চারটি শহরে ১১ এপ্রিল ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ আয়োজন করা হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশন, যার সভাপতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া শহরে একযোগে এই কনসার্ট হবে। ১১ এপ্রিল বেলা ৩টা থেকে কনসার্ট শুরু হবে, চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত।

ঢাকার কনসার্টটি হবে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। কনসার্টে অংশ নেবেন জেমস, নীলা, পড়শী, জেফার, অনিমেষ রায়, মাহাথিম সাকিব, আলেয়া বেগম, মিফতা জামানসহ জনপ্রিয় শিল্পীরা। এ ছাড়া কনসার্টে থাকছে ফিডব্যাক, শিরোনামহীন, অ্যাফিক ব্যান্ড।

চট্টগ্রামের কনসার্টটি হবে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। কনসার্টে অংশ নেবে মাইলস, নাটাই, সাবকন্সিয়াস, বে অব বেঙ্গল ব্যান্ড। এ ছাড়া কনসার্টে অংশ নেবেন ইমরান, কোনাল, শুভ্র, মৌসুমী ও মিথুন বাবু।

বগুড়ায় এখন পর্যন্ত দুটি ভেন্যুতে কনসার্ট আয়োজনের কথা চলছে। এর মধ্যে একটি আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ, অন্যটি সরকারি আজিজুল হক কলেজ খেলার মাঠ। বগুড়ার কনসার্টে অংশ নেবে আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা, ভাইকিংস, বাগধারা ব্যান্ড। এ ছাড়া কনসার্টে অংশ নেবেন কনকচাঁপা, অমিয়া ও লুইপা।

খুলনার কনসার্টে অংশ নেবে ওয়ারফেজ, সোনার বাংলা, রাইফেলস, কুঁড়েঘর ৫, ভাগ্যক্ষণ। আরও থাকছেন তাহসান, জয় শাহরিয়ার, লিজা ও পলাশ।

সংবাদ সম্মেলনে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বাংলাদেশের গান, কৃষ্টি ও নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রাখার তাগিদে তাঁরা এই আয়োজন করছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরতে চান। বাংলাদেশের সংস্কৃতির ওপর যে আগ্রাসন, তা তাঁরা বারবার মোকাবিলা করছেন।

তিনি বলেন, কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ভারতীয় ও পাকিস্তানি গান প্রাধান্য না পায়, সেদিকে তাঁরা বিশেষভাবে নজর দেবেন। এ আয়োজনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার জন্য স্থানীয় লোকগান, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিগুলো তুলে ধরবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, এস এম জিলানী, মোনায়েম মুন্না, এহসান মাহমুদ ও রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনস র ট র কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ