ঈদে লিভিংরুমের সৌন্দর্য বাড়াতে একটি জিনিস বদলে নিতে পারেন
Published: 28th, March 2025 GMT
ঈদে উৎসবের আমেজ ঘরে-বাইরে সব জায়গায়। এই দিনটিতে বাড়িতে অনেক অতিথি আসেন। এই দিনটিতে ঘরের সৌন্দর্য একটু পাল্টে নিতে পারেন। আর তাহলো ঘরের মেঝেতে নতুন একটি গালিচা পেতে দিতে পারেন। প্রকৃতিতে এখন বসন্ত আর গ্রীষ্মের মিশেল প্রভাব। এই সময় হালকা রঙের আরামদায়ক কার্পেট ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা চোখকেও আরাম দেবে। রুচির সঙ্গে রং আর মোটিফ বেছে নিতে পারেন।   
ফুল-ছাপের গালিচা: ফুল ছাপের কার্পেট প্রকৃতির সৌন্দর্য দেবে। ফুলের নকশা আঁকা অথবা জলরঙে ফুলের ছাপ দেওয়া গালিচা ঘরের মেঝেতে বিছিয়ে দিলে দারুণ দেখাবে। রঙের ক্ষেত্রে পিচ, ল্যাভেন্ডার বা পুদিনা সবুজ রঙকে প্রাধান্য দিতে পারেন।
প্যাস্টেল রঙের গালিচা: এই গরমে চোখের আরাম পেতে বেছে নিতে পারেন প্যাস্টেল রঙের গালিচা। এ ছাড়া গোলাপি, হালকা নীল, অথবা ফ্যাকাশে হলুদও চোখে আরাম দেয়। হালকা রঙের গালিচা বিছালে ঘরও বড় মনে হয়।
আরো পড়ুন:
‘নিপল ডিসচার্জ’ থেকে কি ক্যান্সার হয়?
ঈদের আগে বাড়িতে হেয়ার স্পা করার দুইটি পদ্ধতি
পাতাবাহার গালিচা: বিভিন্ন রঙের পাতা আঁকা গালিচা দিয়ে বাইরের ঘরকে নজরকাড়া করে তুলুন। ফুলের এবং পাতার সমাহারে পরিবেশ সতেজ দেখাতে পারে।
হালকা পাটের গালিচা: ঘর সাজাতে যারা দেশের পণ্য প্রাধান্য দেন তারা পাটের তৈরি কার্পেট বেছে নিতে পারেন। হাতে বোনা, পরিবেশবান্ধব গালিচা ঘরকে রাখবে প্রাণবন্ত। ঘর দেখাবে খোলামেলা।
ডোরাকাটা এবং জ্যামিতিক গালিচা: ঘরে নতুনত্ব আনতে বিছিয়ে দিতে পারেন ডোরাকাটা বা জ্যামিতিক গালিচা। এই ধরনের গালিচা প্যাস্টেল রঙের হলে ভালো হয়। এ ছাড়া হালকা সবুজ, হালকা নীল হলেও ভালো লাগবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।
অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।
দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।
গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি