Samakal:
2025-09-18@09:00:31 GMT

বারান্দা বাগানে ঘুঘুর বাসা

Published: 28th, March 2025 GMT

বারান্দা বাগানে ঘুঘুর বাসা

ফুলের টবে বাসা বানিয়েছে একজোড়া ঘুঘু। পেড়েছে ডিম। জন্ম নিয়েছে দুটি ফুটফুটে ছানা। তাও আবার ঘরের বারান্দায়! ইট-পাথরের নগরে এ যেন কল্পনার মতো। ব্যতিক্রমী এ দৃশ্য দেখা যায় রাজধানীর গুলশানের সাততলার এক বারান্দায়। এখানে পাখিরা আসে, বিশ্রাম নেয় আবার চলে যায়। থেকে যায় ঘুঘু দম্পতি। বারান্দার বাগানেই তাদের সংসার।
মা পাখি যখন ছানাদের খাবার আনতে যায় তখন পাশে থাকে বাবা। খাবার নিয়ে এলে ছানাদের কিচিরমিচির শব্দ বাড়ে। এমন কিচিরমিচির শব্দ শুনতে কার না ভালো লাগে? তবে সাবিহা তাবাসসুমকে ভাগ্যবান বলতেই হয়। যার হাতের ছোঁয়ায় বারান্দায় গড়ে ওঠেছে সবুজে ঘেরা বাগান। ছোটবেলা থেকেই শখের বসে বাগান এবং লেখালেখি করেন তিনি। 
সাবিহা বলেন, ‘বারান্দায় সবসময়ই কোনো না কোনো পাখি আসত। আবার চলে যেত। কিছুদিন ধরে ঘুঘু দম্পতির বেশ আনাগোনা লক্ষ্য করি। হঠাৎ দেখি বারান্দার ফুলের টবে বাসা বানিয়েছে তারা। ডিম পাড়ে এবং দুটো বাচ্চাও জন্ম নেয়। প্রথম প্রথম দেখে তো অবাক হয়েছি। এরপর থেকে আরও সচেতন হয়েছি; যাতে তাদের কোনো রকম অসুবিধা না হয়। বারান্দার দরজা কম খোলা রাখছি। আবার কাপড় শুকাতেও দিচ্ছি না। বাসায় লোকজন কম থাকায় এ ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাখি দম্পতির ছানাদের ঘিরে ব্যস্ততা দেখে কী যে ভালো লাগে! একজন ছানাদের পাশে থাকে তো আরেকজন উড়ে চলে যায়। দেখে আর উঠতেই ইচ্ছে করে না। কোথাও যাওয়ার সময় কিংবা ফিরে এসেই সবার আগে তাদের দেখি। ভিডিও করি, ছবি তুলে রাখি। পরিচিতদের জানালে তারাও অবাক হয়। অনেকে নিয়মিত খোঁজখবর নেয়। আগে থেকেই বারান্দায় পাখিদের জন্য আলাদাভাবে কিছু খাবার ও পানি রাখতাম। বিশ্রামের জন্য মাটির হাঁড়ি, বাবুইর বাসাও ঝুলিয়ে রেখেছি।’
ছানাদের খাঁচায় ভরে পালন করার পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ। এটি করতে একেবারেই নারাজ সাবিহা। তাঁর মতে, ‘পাখিরা যখন বিশ্বাস করে আমার বারান্দায় বাসা বানিয়েছে এখন তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করি কীভাবে? আমি চাই, তারা নিজেদের মতো করে বসবাস করুক।’ আমার মেয়ে মুনতাহাও এভাবে চিন্তা করে।
সাবিহার বারান্দা বাগানের সাদা চেরি, লাল চেরি বিশেষ নজর কাড়ে। সাবিহা বলেন, ‘গাছগুলো শুধু সজীবতার প্রতীক নয়, এগুলো বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। পাথরকুচির পাতা শ্বাসকষ্ট এবং ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আরাম দেয়। তুলসী গাছের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ আছে।’
এই বারান্দা বাগানে আরও রয়েছে রঙ্গন ও কামিনী ফুলের গাছ। যেগুলো বাগানের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। রঙ্গনের লাল ফুলগুলো যেমন বাগানকে জীবন্ত করে তোলে, তেমনি কামিনীর সাদা ফুলের মনোরম ঘ্রাণ পুরো বারান্দায় ছড়িয়ে পড়ে। যেন ব্যস্ত নগরজীবনে এক টুকরো সবুজ বন। সাবিহা বলেন, ‘আমি প্রকৃতি ভালোবাসি। সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মধ্যে বড় হয়েছি। সে সূত্রেই প্রকৃতির সঙ্গে ভালোবাসা। গাছপালা, পশুপাখি আমার দারুণ পছন্দ ছোটবেলা থেকে। ব্যস্ততার শেষে ক্লান্তি এসে যখন একটু প্রশান্তির জন্য বিদ্রোহ শুরু করে তখন বারান্দার প্রাকৃতিক পরিবেশ সব ক্লান্তি, অবসাদ এক নিমেষেই দূর করে দেয়।’ v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রেরণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানির ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পায়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।

কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ