বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা বাংলাদেশেও, উচ্চ ঝুঁকিতে কোন তিন অঞ্চল: ফায়ার সার্ভিস
Published: 29th, March 2025 GMT
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও একই ধরনের বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে গতকাল শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহতের পর আজ শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪। এতে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই ধরনের বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন তৈরি করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার করতে হবে। বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোয় অগ্নিপ্রতিরোধের ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
আরও পড়ুনভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে ২ ঘণ্টা আগেএ ছাড়া গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইন ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বরগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সব ভবন কিংবা স্থাপনায় সংরক্ষণ করতে হবে। এগুলো দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখতে হবে।
আরও পড়ুনশক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল আট দেশ, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি১১ ঘণ্টা আগেজরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জাম, যেমন টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট, শুকনা খাবার, সুপেয় পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও শিশুযত্নের সামগ্রী বাসাবাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন৭০০ কোটি টাকার ৩৩তলা ভবন মুহূর্তে তিনতলার সমান ধ্বংসস্তূপ১১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি, কমতে পারে তাপপ্রবাহ
টানা প্রায় চার দিনের তাপপ্রবাহ শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এ বৃষ্টি শুরু হয়েছে গতকাল রোববার থেকেই। আজ সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ রাজধানীতে দুপুরের দিকেই বৃষ্টি হতে পারে। আর এ বৃষ্টির পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার তাপপ্রবাহের পরিমাণ কমে যাবে। বৃষ্টির প্রভাব থাকতে পারে আগামী বুধবার পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আজ সকাল থেকে সিলেটর বিভিন্ন অঞ্চলে, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের নানা স্থানে এবং রংপুরের বিভিন্ন স্থান, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকাতেও বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, আসলে গতকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আজ সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বেশির ভাগ স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে দুপুরের মধ্যে কিংবা বিকেলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব বাংলাদেশের ওপরে আছে। আর এ জন্যই বৃষ্টির এই আবহ। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে দেশজুড়ে একযোগে বৃষ্টি হবে না হয়তো।
গতকালও দেশের গোপালগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এটি আজ নাও থাকতে পারে বলে আজ সকালে আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় রংপুর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৪১ মিলিমিটার। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে, ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।