ভূমিকম্প মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ সতর্কবার্তা
Published: 29th, March 2025 GMT
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশেও ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি দেশে ভূমিকম্প মোকাবিলায় সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য ৯টি বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটি’র মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪। এতে দেশ দুটি বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
(১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ
(২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ
(৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার
(৪) ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত
(৫) ভূমিকম্প চলাকালীন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা
(৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বর ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা
(৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা
(৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট বা কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পড়লে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায় এবং
(৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা
এসব বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে। যেকোনো তথ্যের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের এই নম্বর ০১৭২২৮৫৬৮৬৭, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হটলাইন নম্বর ১০২ যোগাযোগ এবং ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইট www.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ভ ম কম প র জন য পর য য় গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি, কমতে পারে তাপপ্রবাহ
টানা প্রায় চার দিনের তাপপ্রবাহ শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এ বৃষ্টি শুরু হয়েছে গতকাল রোববার থেকেই। আজ সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ রাজধানীতে দুপুরের দিকেই বৃষ্টি হতে পারে। আর এ বৃষ্টির পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার তাপপ্রবাহের পরিমাণ কমে যাবে। বৃষ্টির প্রভাব থাকতে পারে আগামী বুধবার পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আজ সকাল থেকে সিলেটর বিভিন্ন অঞ্চলে, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের নানা স্থানে এবং রংপুরের বিভিন্ন স্থান, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকাতেও বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, আসলে গতকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আজ সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বেশির ভাগ স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে দুপুরের মধ্যে কিংবা বিকেলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব বাংলাদেশের ওপরে আছে। আর এ জন্যই বৃষ্টির এই আবহ। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে দেশজুড়ে একযোগে বৃষ্টি হবে না হয়তো।
গতকালও দেশের গোপালগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এটি আজ নাও থাকতে পারে বলে আজ সকালে আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় রংপুর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৪১ মিলিমিটার। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে, ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।