হইচই ফেলে দেওয়া সিরিজটি কেন সব মা-বাবার অবশ্যই দেখা উচিত
Published: 30th, March 2025 GMT
সন্তানের শূন্য বিছানা, ঘর খালি। ডুকরে কেঁদে ওঠেন বাবা; তাঁর হাহাকার চলতেই থাকে। শেষের এ দৃশ্যটি দেখার আগেই সিরিজটির সঙ্গে জুড়ে গেছেন আপনি, পর্দায় বাবার কান্না তাই আপনাকেও ছুঁয়ে যেতে বাধ্য। শেষ করার পরও অনেক দিন ধরেই সিরিজটির কথা মনে পড়বে, চরিত্রগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন সংলাপও আপনাকে তাড়া করে ফিরবে; কে জানে হয়তো জাগিয়ে তুলবে অপরাধবোধও। সিনেমা-সিরিজের খোঁজখবর যাঁরা রাখেন, এতক্ষণে হয়তো বুঝে গেছেন হচ্ছিল ‘অ্যাডোলেসেন্স’-এর কথা। ১৩ মার্চ নেটফ্লিক্সের মুক্তির পর কার্যত সারা দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে চার পর্বের মিনি সিরিজটি। স্ট্রিমিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে, অন্তর্জালে ঢুঁ মারলেই চোখে পড়ছে ‘অ্যাডোলেসেন্স’ নিয়ে এন্তার লেখা। কিন্তু এত কিছু না হলেও সিরিজটির গুরুত্ব এতটুকু কমত না। নির্মাতারা বিষয় হিসেবে এমন কিছুকে বেছে নিয়েছেন, যার সঙ্গে সারা দুনিয়ার মানুষ আরও নির্দিষ্ট করে বললে মা-বাবারা নিজেদের মেলাতে পারেন। কিন্তু কী এমন আছে এই সিরিজে? কেন সমালোচকেরা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন, ‘অ্যাডোলেসেন্স’ সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা সিরিজ?
একনজরেসিরিজ: ‘অ্যাডোলেসেন্স’
ধরন: ড্রামা
পর্বসংখ্যা: ৪
রান টাইম: ৫১-৬৫ মিনিট
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
ক্রিয়েটর: জ্যাক থোর্ন ও স্টিফেন গ্রাহাম
অভিনয়ে: স্টিফেন গ্রাহাম, ওয়েন কুপার, অ্যাশলি ওয়ালটারস
১৩ বছরের কিশোর জেমি মিলার তারই এক সহপাঠীকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হয়। বিশাল এক বাহিনী নিয়ে বাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ যে ভয়াবহ, জেমি ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে সহপাঠী কেটিকে খুন করেছে! জেমি তো বটেই, ওর মা-বাবা, বড় বোন সবাই হতবাক। থানায় নেওয়ার পর জেমি অভিযোগ অস্বীকার করে। তাঁকে সহায়তার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়, আসেন মনোবিদ। জেমি কি সত্যিই খুন করেছে—এমন প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে যায় গল্প।
গল্প শুনে আবার ভাববেন না এটি থ্রিলার, জেমি খুন করেছে কি না, সেটা এই সিরিজে আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে সে কী করেছে, শুরুর কিছুক্ষণ পর সেটা আপনিও বুঝে যাবেন। আবার কিশোর গ্যাং নিয়ে পুলিশি তদন্ত সিরিজও এটা নয়। এই গল্পের পরতে পরতে রোমাঞ্চ নেই, নেই ধাক্কা দেওয়ার মতো চমকও।
‘অ্যাডোলেসেন্স’-এর দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স র জট
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।