আমাকে এসবে জড়াবেন না: ব্রাজিলের নতুন কোচ কে হবেন, তা নিয়ে নেইমার
Published: 30th, March 2025 GMT
দরিভাল জুনিয়র ছাঁটাই হওয়ার পর এখন নতুন কোচের সন্ধানে আছে ব্রাজিল। এর মধ্যে ব্রাজিলের সম্ভাব্য নতুন কোচ হিসেবে একাধিক নামও সামনে এসেছে। দৌড়ে কার্লো আনচেলত্তি এগিয়ে থাকলেও লড়াইয়ে আছেন হোর্হে জেসুস ও ফিলিপে লুইসের মতো নামও।
এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না এলেও, এই তিনজনের মধ্য থেকেই হয়তো কেউ একজন কোচ হিসেবে ব্রাজিলের ডাগআউটে আসতে যাচ্ছেন। ব্রাজিলের নতুন কোচ নিয়োগ সম্প্রতি মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল নেইমারের কাছ থেকেও। তবে বিষয়টি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সাবেক এই বার্সেলোনা তারকা।
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে যাঁরা এগিয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে আনচেলত্তির অধীনে কখনো খেলেননি নেইমার। জেসুসের অধীনে নেইমার খেলেছেন আল হিলালে। আর ফিলিপে লুইসকে নেইমার কোচ নয়, পেয়েছিলেন সতীর্থ হিসেবে। জেসুসের অধীনে খেললেও সেই সময়টা কিন্তু নেইমারের ভালো যায়নি। এমনকি কথার লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়েন দুজন।
আরও পড়ুনআনচেলত্তি না এলে ‘প্ল্যান বি’তে যাঁকে কোচ বানাতে চায় ব্রাজিল২৮ মার্চ ২০২৫নেইমারকে সৌদি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য নিবন্ধিত না–করা জেসুস তাঁকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা যে মানের ফুটবল খেলছি, নেইমার সেই জায়গায় নেই।’ জেসুসের এই কথা ভালোভাবে নিতে পারেননি নেইমার। কোচের ওপর মনঃক্ষুণ্ন হয়ে নেইমার তখন বলেছিলেন, ‘হোর্হে জেসুসের ওপর আমার রাগ হয়েছিল, যখন তিনি বলেছিলেন, দলের বাকিদের মতো আমি একই অবস্থায় নেই।’
সেই একই কোচকে এখন ব্রাজিল ডাগআউটে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছেন, জানতে চাইলে এক পডকাস্টে নেইমারের উত্তর ছিল এমন, ‘এসবের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে এসবের মধ্যে জড়াবেন না। আমি এখন বাইরে।’
হোর্হে জেসুসও আছেন ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নত ন ক
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?
আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।
২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।
নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।
৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।