দরিভাল জুনিয়র ছাঁটাই হওয়ার পর এখন নতুন কোচের সন্ধানে আছে ব্রাজিল। এর মধ্যে ব্রাজিলের সম্ভাব্য নতুন কোচ হিসেবে একাধিক নামও সামনে এসেছে। দৌড়ে কার্লো আনচেলত্তি এগিয়ে থাকলেও লড়াইয়ে আছেন হোর্হে জেসুস ও ফিলিপে লুইসের মতো নামও।

এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না এলেও, এই তিনজনের মধ্য থেকেই হয়তো কেউ একজন কোচ হিসেবে ব্রাজিলের ডাগআউটে আসতে যাচ্ছেন। ব্রাজিলের নতুন কোচ নিয়োগ সম্প্রতি মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল নেইমারের কাছ থেকেও। তবে বিষয়টি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সাবেক এই বার্সেলোনা তারকা।

ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে যাঁরা এগিয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে আনচেলত্তির অধীনে কখনো খেলেননি নেইমার। জেসুসের অধীনে নেইমার খেলেছেন আল হিলালে। আর ফিলিপে লুইসকে নেইমার কোচ নয়, পেয়েছিলেন সতীর্থ হিসেবে। জেসুসের অধীনে খেললেও সেই সময়টা কিন্তু নেইমারের ভালো যায়নি। এমনকি কথার লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়েন দুজন।

আরও পড়ুনআনচেলত্তি না এলে ‘প্ল্যান বি’তে যাঁকে কোচ বানাতে চায় ব্রাজিল২৮ মার্চ ২০২৫

নেইমারকে সৌদি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য নিবন্ধিত না–করা জেসুস তাঁকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা যে মানের ফুটবল খেলছি, নেইমার সেই জায়গায় নেই।’ জেসুসের এই কথা ভালোভাবে নিতে পারেননি নেইমার। কোচের ওপর মনঃক্ষুণ্ন হয়ে নেইমার তখন বলেছিলেন, ‘হোর্হে জেসুসের ওপর আমার রাগ হয়েছিল, যখন তিনি বলেছিলেন, দলের বাকিদের মতো আমি একই অবস্থায় নেই।’

সেই একই কোচকে এখন ব্রাজিল ডাগআউটে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছেন, জানতে চাইলে এক পডকাস্টে নেইমারের উত্তর ছিল এমন, ‘এসবের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে এসবের মধ্যে জড়াবেন না। আমি এখন বাইরে।’

হোর্হে জেসুসও আছেন ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নত ন ক

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ