রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়বেন
Published: 30th, March 2025 GMT
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবার বঙ্গভবনেই ঈদের নামাজ আদায় করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন।
অবশ্য বঙ্গভবনে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নিজেই।
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন রবিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
সাইপ্রাসে প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
ঈদের আগের রাতে নদী পথে বাড়ি ফিরছে মানুষ
বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
সাধারণত রাষ্ট্রপতি জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। এতে সরকারের নীতি নির্ধারকসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষও অংশ নিয়ে থাকেন। তবে এবার এর ব্যতিক্রম হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাতে নামাজ আদায় করবেন বলে তার দপ্তর থেকে বলা হয়েছে। বিকাল ৪টায় তেজগাঁওয়ে মুহাম্মদ ইউনূস তার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এরই মধ্যে রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহে জামাতের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হওয়ার কথা বলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষের অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এখানে সকাল সাড়ে ৮টায় হবে প্রধান জামাত।
ইসলামি ফাউন্ডেশনে ধর্ম উপদেষ্টার কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান- রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধান উপদেষ্টা কোথায় ঈদের নামাজ পড়বেন। জবাবে তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ঈদের নামাজ পড়বেন জাতীয় ঈদগাহে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি পড়বেন বঙ্গভবনে।”
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ জ ত য় ঈদগ হ ন ম জ পড়ব ন ঈদ র ন ম জ র ষ ট রপত
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব