‘প্রতিদিনই তো প্রায় দুই লাখ টাকা বেচাকেনা করেন। তাহলে ক্যাশ ড্রয়ারে টাকা এত কম রেখেছেন কেন? টাকা কম রেখেছেন তাই, কয়েক বস্তা ভরে মালামাল নিয়ে এসেছি।’- রাতে চুরির পর ভোরে দোকান মালিককে ফোন দিয়ে এমন কথা বলেছে এক চোর। আলোচিত এমন কথোপকথনের ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের দিন আজ। সোমবার ভোরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা রোডের মল্লিক ফার্মেসির মালিকের সঙ্গে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক হরেন্দ্রনাথ সাহা সমকালকে জানান, ঈদের দিন সোমবার ভোরে বাড়িতে ফন রেখে তিনি হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মোবাইলে কয়েকবার কল আসে। তিনি বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী কলটি রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে বলেন, আপনাদের দোকান চুরি করেছি। কিছু সময় পরই তিনি বাড়িতে আসলে তার স্ত্রী ফোনের এমন কথাটি জানান। প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন, কেউ হয়ত ইয়ার্কির ছলে এমন করছে। এরপর ওই নাম্বারে কল দিলে রিসিভ করে চোর বলেন, ‘রাতে আমি আপনার ফার্মেসিতে চুরি করেছি।’ চোর আরও বলেন, ‘প্রতিদিনই তো আপনার ফার্মেসিতে প্রায় দুই লাখ টাকার উপরে বেচাকেনা করেন। কিন্তু ক্যাশ ড্রয়ারে ৪০/৫০ হাজার টাকা রেখেছেন কেন? টাকা কম রেখেছিলেন, তাই আমরা কয়েক বস্তায় ভরে ঔষধ নিয়ে এসেছি। দোকানে গিয়ে খুলে দেখেন, সব দেখতে পাবেন।’ 

এমন কথা শোনার পর পরই মালিক হরেন্দ্রনাথ দ্রুত চাবি নিয়ে দোকান খুলে দেখেন, সত্যিই ক্যাশ ড্রয়ার ভাঙা। দোকানের কয়েকটি র‌্যাকে ওষধপত্র খালি।

মালিক হরেন্দ্রনাথ জানান, ঈদের আগের দিন গভীর রাতে চোরেরা তার দোকানের পেছনের গ্রিল কেটে প্রবেশ করে এই চুরি করে। এ ঘটনার পর বিষয়টি তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, চুরির ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী দোকান মালিককে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ

নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় আগে থেকে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ের ফটকের কাছাকাছি চলে গেলে পুলিশ তাদের থামার অনুরোধ করে। আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ না মানলে পুলিশ প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে অবস্থান নেন।

শাহবাগ থানার পেট্রোল অফিসার জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ কর হয়। এছাড়াও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক নিবন্ধনধারী জানান, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাই।

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।

২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।

৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এখনও আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ