ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় ‘প্রয়োজনে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে ইউরোপের ‘একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা’ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

কয়েক সপ্তাহ ধরে, ট্রাম্প ২এপ্রিলকে আমেরিকার ‘মুক্তি দিবস’ হিসেবে প্রচার করে আসছেন। ওই দিন তার প্রশাসনের উগ্র অর্থনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বেশ কয়েকটি বড় ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং গাড়ি আমদানির উপর আগ্রাসী মাত্রায় শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে।

উরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন বলেছেন, “ইউরোপ এই সংঘাত শুরু করেনি। আমরা অবশ্যই প্রতিশোধ নিতে চাই না, তবে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা আছে এবং আমরা তা ব্যবহার করব।”

সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তার শুল্ক পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন। তিনি কী ঘোষণা করবেন সে সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।

ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ভন ডের লেইন জানিয়েছেন, ইউরোপ ‘আলোচনার জন্য উন্মুক্ত।’

তিনি বলেছেন, “আমরা এই আলোচনাগুলোকে শক্তিশালী অবস্থান থেকে এগিয়ে নেব। ইউরোপের কাছে বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রযুক্তি, আমাদের বাজারের আকার পর্যন্ত অনেক তাস রয়েছে। কিন্তু এই শক্তি আমাদের প্রস্তুতির উপরও নির্ভর করছে। সব উপকরণ টেবিলে রয়েছে।”

ইইউ কীভাবে প্রতিশোধ নিতে পারে সে সম্পর্কে ভন ডের লেইন অবশ্য বিস্তারিত জানাননি, তবে গত মাসে ব্লকটির আলোচনায় ট্রাম্পের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ২৬ বিলিয়ন ইউরো (২৮ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের আমেরিকান পণ্যের উপর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। এসব পণ্যের মধ্যে মধ্যে নৌকা, বোর্বন এবং মোটরবাইক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ