চীনের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরে অনিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রয়াদেশ ২০-৩০% কমার শঙ্কা
Published: 5th, April 2025 GMT
তিনটি মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক বৈঠক করতে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যান বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শোভন ইসলাম। পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোয় ক্রেতারা চীন থেকে মেয়েদের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরে ইতিবাচক মনোভাবও দেখায়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে শোভন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পর আমি আবার সেই ক্রয়াদেশ নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা এখন দেখছি, দেব করছে। তার মানে ব্যবসার সুযোগটি এখন অনিশ্চিত। উল্টো একাধিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, শুল্কের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমবে। সেটি হলে আগামী শরৎ ও শীত মৌসুমে পোশাকের ক্রয়াদেশ ২০–৩০ শতাংশ কমতে পারে।’
শোভন ইসলামসহ কয়েকজন রপ্তানিকারকের সঙ্গে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের কথা হয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কে এখনই বড় আকারে কিছু না–ও হতে পারে। তবে অতিরিক্ত শুল্ক বজায় থাকলে ক্রয়াদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি ব্যয়ের হিসাব–নিকাশ শুরু করেছে। ফলে বাংলাদেশ সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা দরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের নিয়ে সরকার কী করছে জানতে বাণিজ্য উপদেষ্টার শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি বুঝতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। বাংলাদেশের করণীয় নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আগামীকাল রোববার জরুরি বৈঠক হবে বলেও জানান তিনি।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই এমন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসের গোলাপবাগানে গত বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তাতে বিশ্বের সব আমদানিকারক দেশের ওপর গড়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তার বাইরে বেশ কিছু দেশের পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। চীন পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
রয়টার্স ও ভিয়েতনাম প্লাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক প্রতিরোধে গত ফেব্রুয়ারিতে বিলাসবহুল গাড়ি, সোলার সেল, রাসায়নিকসহ ৩০টির বেশি মার্কিন পণ্যে আমদানি শুল্ক পর্যালোচনার শুরু করে ভারত। কারণ, তাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে। গত মাসে ৫৫ শতাংশ মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে ভারত। অন্যদিকে ভিয়েতনাম গত সপ্তাহে অটোমোবাইল, কৃষিপণ্য, ইথানলসহ ১৬ ধরনের পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর ২৬ ও ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক। আর সেই পোশাক রপ্তানির একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরের বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ১৮ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা তাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এই বাজারে যাঁরা জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, হোমটেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি করেন, তাঁরাও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক চার–পাঁচ বছর থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের দ্রুত আলোচনা শুরু করা দরকার।
বাংলাদেশের শীর্ষ পণ্য রপ্তানির অন্যতম হোমটেক্সটাইল। গত অর্থবছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এই খাত প্রায় পাঁচ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় এসেছে। নতুন শুল্কের কারণে বাজারটিতে রপ্তানি কমার শঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) সাবেক চেয়ারম্যান এম শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হোমটেক্সটাইলে আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। দেশটির ওপর পাল্টা শুল্ক বসেছে ২৯ শতাংশ। আর আমাদের পণ্যে ৩৭ শতাংশ। ফলে পাকিস্তান স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, হোমটেক্সটাইলে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গ্যাস–বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নগদ সহায়তা কমানো এবং সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের কারণে হোঁচট খেল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল আমদ ন র ওপর ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হই হই অবস্থা, প্রস্তুতি না নেওয়া আত্মঘাতী
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হই হই অবস্থার মধ্যে রয়ে গেছে। সকালের খবরে দেখলাম, হয়তো গুজব, যে আজকেই শুরু হয়ে যাবে যুদ্ধ। প্রস্তুতি না নেওয়াটা আত্মঘাতী। আধাআধি প্রস্তুতির কোনো জায়গা নাই।’
গতকাল বুধবার রাজধানীর বীরউত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। খবর বিবিসি বাংলা ও বাসসের।
নিজেকে ‘যুদ্ধবিরোধী মানুষ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক– এটা আমরা কামনা করি না।’ যুদ্ধের প্রস্তুতি অনেক সময় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়– এ রকম ধারণার বিষয়ে ঘোরতর আপত্তির কথা জানান ড. ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্ব আগামী দিনের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিমানবাহিনীর সব সদস্যের প্রতি যুগোপযোগী ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জন এবং পেশাগত ও কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি অব্যাহত মনোযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা একটা নিরাপদ, উন্নত ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার, রাডার সংযোজনের জন্য বিমানবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিতভাবে বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অনুশীলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জ্ঞান-দক্ষতাকে যুগোপযোগী করতে সদা সচেষ্ট রয়েছেন।’
তিনি দেশের বিমানবন্দরগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
মহড়া কেবল একটি সাময়িক অনুশীলনই নয় উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিমানবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় বহন করে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছলে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। অনুষ্ঠানস্থলে বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার
গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘর বিতরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব ঘর বিতরণ করেন।
ওই বন্যায় অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম। অসংখ্য বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নির্মাণের সামর্থ্য নেই, এ রকম তিনশ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ঘর পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুটি কক্ষ, কমন স্পেস, শৌচাগার, রান্নাঘরসহ বারান্দা রয়েছে। ৪৯২ বর্গফুট আয়তনের ঘরে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৪ টাকা এবং ৫০০ বর্গফুটের ঘরে প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেনাবাহিনী ঘরগুলো নির্মাণ করেছে।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত ও বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে এগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘দেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বছরে ১ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।’